নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বদলি করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আমলের সই করা একাধিক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বদলির আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগামী ১৩ ডিসেম্বর শনিবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বদলির তালিকায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শিহাব করিমকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সহকারী পুলিশ সুপার পদে স্থানান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আবুল কালামকে নৌ পুলিশে বদলি করা হয়েছে। র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাজহারুল হক ও মো. মিজানুর রহমানকে এপিবিএনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্য একটি প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের স্থানান্তরও করা হয়েছে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে সিরাজগঞ্জে, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকারকে সুনামগঞ্জে, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমানকে ঝিনাইদহে, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনকে ঝিনাইদহে, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইনকে সিলেটে বদলি করা হয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আমিনকে হবিগঞ্জে, খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির সিদ্দিকী শুভ্রকে খুলনা সদরে, নওগাঁ ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামকে নওগাঁ এবং রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ান দীপুকে ফরিদপুর ভাঙ্গা সার্কেলে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়াও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহাদাতকে খাগড়াছড়িতে এবং পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার ও সম্প্রতি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. সালাউদ্দিনকে খুলনা সি-সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের এই ধরনের বদলি নিয়মিত কর্মবণ্টন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। স্থানান্তরিত কর্মকর্তারা নতুন কর্মস্থলে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কার্যক্রমে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করবেন। এই পরিবর্তনগুলি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রমের সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।


