জামায়াতে ইসলামী রাজাকারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে: দেলাওয়ার হোসেন

জামায়াতে ইসলামী রাজাকারের তালিকায় চতুর্থ স্থানে: দেলাওয়ার হোসেন

জাতীয় ডেস্ক

ঢাকা দক্ষিণের জামায়াতে ইসলামী অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, বিগত সরকারের তৈরি করা রাজাকারের তালিকায় জামায়াতে ইসলামী চতুর্থ স্থানে অবস্থান করেছিল, যেখানে মোট ৩৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি আরও জানান, সেই তালিকার শীর্ষে অবস্থান করেছিল আওয়ামী লীগ, দ্বিতীয় স্থানে বিএনপি এবং তৃতীয় স্থানে জাতীয় পার্টি।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেলাওয়ার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজাকারের অভিযোগ বারবার তাদের বিরুদ্ধে আনা হলেও সরকারিভাবে প্রকাশিত তালিকার ভিত্তিতে অন্যান্য বড় দলগুলোর নাম শীর্ষে রয়েছে।

দেলাওয়ার হোসেন আরও উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিতভাবে অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। তিনি দেশের উন্নয়নের মূল বাধা হিসেবে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করেন। সভায় তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করবেন।

জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির বেলাল উদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মদ এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতারা। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলীয় অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।

সভার আলোচনায় উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা গুরুত্বপূর্ণ। দেলাওয়ার হোসেন এবং অন্যান্য নেতারা উল্লেখ করেন, রাজাকার শব্দটি নির্দিষ্ট কয়েকটি দলের নামের সঙ্গে সীমাবদ্ধ, তাই রাজনৈতিক বিতর্কের সময় তা সঠিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ব্যবহার করা প্রয়োজন।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাতীয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এই ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান এবং ইতিহাসের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের বিষয়ে দলের অঙ্গীকারও স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব বহন করে।

সভায় আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে স্থানীয় উন্নয়ন, রাজনৈতিক শিক্ষা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নেতারা দাবি করেছেন, দলীয় কাঠামো ও নেতৃত্ব বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা পালন সম্ভব হবে।

জামায়াতে ইসলামের এই বক্তব্য ও পরিকল্পনা স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় পরিচয় ও নীতি বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করছে। এছাড়া স্বাধীনতার ইতিহাস ও রাজাকারের তালিকাসহ ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক বক্তব্যের গুরুত্বও বাড়ানো হয়েছে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ