তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ রিলস  প্রতিযোগিতা শুরু

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ রিলস প্রতিযোগিতা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দলটি একটি অনন্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহাদী আমিন জানান, ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি জাতীয় রিলস (শর্ট ভিডিও) মেকিং প্রতিযোগিতা শুরু করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতাটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, যেদিন তারেক রহমান দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের যেকোনো মানুষ, দেশ-বিদেশ নির্বিশেষে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীরা এক মিনিটের ভিডিও আকারে নিজেদের ভাবনা, প্রত্যাশা বা পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারবেন। ভিডিওর ধরন নির্দিষ্ট নয়; এটি হতে পারে বক্তব্য, গান, সংলাপ, স্যাটায়ার, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন বা শিল্পকর্মের সমন্বয়ে তৈরি।

মাহাদী আমিন আরও জানান, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গঠনমূলক সমালোচনা, নতুন চিন্তা এবং দেশের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মেধাভিত্তিক বিচারপদ্ধতি অনুযায়ী শীর্ষ দশ জন নির্বাচিত হবেন, যারা তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি একান্ত আলাপচারিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।

তিনি কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, এটি দেশের প্রতিটি নাগরিককে রাষ্ট্র ও দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার একটি উদ্যোগ। বিএনপি আশা করছে, ভবিষ্যতে যদি দলটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাহলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও তৃণমূলের মধ্যে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ মেলবন্ধন গড়ে উঠবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, চেয়ারপারসনের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য সাইমুম পারভেজ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি নতুন ধারা হিসেবে ধরা হচ্ছে, যেখানে সাধারণ নাগরিকদের মতামত ও চিন্তাধারা সরাসরি দলের কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত করার মাধ্যমে গণমুখী অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং জনমত সংগ্রহে নতুন ধারণা প্রদান করবে।

ভিডিও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের ভিডিও যাচাই-বাছাই এবং বিচার প্রক্রিয়া এক প্রাঞ্জল ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য দল ইতোমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট কমিটি গঠন করেছে। কমিটি প্রতিটি ভিডিও বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী বিজয়ীদের নির্বাচন করবে।

বিএনপির এ ধরনের উদ্যোগ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন উদাহরণ স্থাপন করছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতার সুযোগ থাকায় নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা দলের নীতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা লাভ করতে পারবেন, যা রাজনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এই প্রতিযোগিতা কেবলমাত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ নয়; বরং এটি দেশের নাগরিকদের সৃজনশীলতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য এটি দেশের উন্নয়ন এবং সমাজে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের সুযোগ হিসেবে কাজ করবে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ