জাতীয় ডেস্ক
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক ও সচেষ্ট রয়েছে। একই সঙ্গে, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কেও সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এই তথ্য জানানো হয়। সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে গৃহীত হালনাগাদ প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সভায় ঢাকায় থাকা প্রায় চল্লিশজন কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সভায় জানায়, নির্বাচন কমিশন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে এবং তাদেরকে বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রেরণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। সভার মাধ্যমে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয় যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নজরদারি, নিরাপত্তা টহল এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালাবে। এতে ভোটারদের নিরাপদ ও সুষ্ঠু ভোট প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করে নিরাপত্তার মান যাচাই করেছেন। সভায় অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করা হয় যে, বিদেশি দূতাবাস ও তাদের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী তাদের দায়িত্বে পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করছে। এছাড়া, ভোটগ্রহণ ও গণভোটের সময় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করা হবে।
সভায় আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনার নিরাপত্তা, এবং নির্বাচনী সময়কালীন যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাহিনীর প্রস্তুতি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কূটনীতিকদেরকে নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে এই প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি সুসংগঠিত ও নিরাপদ নির্বাচনী পরিবেশ প্রদর্শনের উদ্দেশ্য বহন করছে।


