হাজারীবাগ ডেস্ক
পুলিশ জানিয়েছে, হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে সকালেই তারা হোস্টেলটি তল্লাশি করে পঞ্চম তলার রুম থেকে জান্নাত আরা রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। মৃতার বাবা মো. জাকির হোসেন। তিনি তার মেয়ের এনসিপির ধানমণ্ডি শাখার নারী নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হাজারীবাগ থানার ওসি (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনা আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের মাধ্যমে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়ার প্রকৃত কারণ এবং ঘটনা প্রসঙ্গে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাবে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।
এ ঘটনায় শহরের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা এবং রাজনৈতিক মহল শোক প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, জান্নাত আরা রুমি স্থানীয় নারী নেত্রী হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তার রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ছিল।
পুলিশ বলেছে, ঘটনার তদন্তে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ, প্রতিবেশী এবং সম্ভাব্য সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তল্লাশি এবং প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী কোনো চিহ্ন বা লাশে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। এই কারণে আত্মহত্যা ধারা প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে সম্পূর্ণ রিপোর্ট আদালত বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া তদন্ত চলাকালীন সময়ে অন্য কোনো সম্ভাব্য কারণ ও আঞ্চলিক বা রাজনৈতিক প্রভাবের দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
এ ঘটনার প্রভাব শহরের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে গভীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করছে, তারা ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জান্নাত আরা রুমীর মৃত্যু স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া নারী নেতাদের নিরাপত্তা এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তাও পুনরায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তদন্ত শেষ হলে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ঘটনা সংক্রান্ত চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে।


