বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল

খেলাধুলা ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিপিএলের জমকালো উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তবে টুর্নামেন্টটি নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সিলেটে শুরু হবে। বিসিবি’র একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে সিলেটে শুরু হতে যাওয়া ১২তম আসরে প্রতিযোগিতামূলক এবং আকর্ষণীয় খেলা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া খেলোয়াড়, দর্শক, ম্যাচ অফিসিয়াল এবং টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গণজমায়েত সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বড় জনসমাগমের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানসহ কোনো আনুষ্ঠানিক জমকালো আয়োজন অন্তর্ভুক্ত হবে না। বিসিবি আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু টুর্নামেন্ট নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়তো আমরা করব না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্রিকেট খেলা ভালোভাবে পরিচালনা করা। এই মুহূর্তে আমরা ক্রিকেটটাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”

বিপিএল ১২তম আসর দেশের ক্রিকেট পেশাদার লীগের অন্যতম বড় ইভেন্ট হিসেবে গণ্য হয়। এটি প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয় এবং দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএল বর্তমানে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে পরিণত হয়েছে। ১২তম আসরে বিভিন্ন দল সমন্বিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং দলগুলোর প্রস্তুতি আগের বছরের তুলনায় আরও কঠোর ও পরিকল্পিত হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও সরকারি নির্দেশনা অনুসারে জনসমাগম সীমিত করার সিদ্ধান্তের ফলে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাধারণ দর্শক উপস্থিতি থাকছে না। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতিটি ম্যাচ সুষ্ঠু এবং নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিসিবি যথাযথ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে। এতে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং দর্শকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ম্যাচের মান বজায় রাখা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত ক্রিকেট খেলার ধারাবাহিকতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিপিএলের জন্য নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি সম্পন্ন করার মাধ্যমে দেশব্যাপী ক্রিকেট ভক্তরা মানসম্মত খেলা দেখতে সক্ষম হবেন। এছাড়া জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের রেপুটেশন অক্ষুণ্ণ রাখার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হবে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এই উদ্যোগ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনের কার্যক্রম সচল রাখার পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খেলাধূলা শীর্ষ সংবাদ