জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অপারেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ (বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, আল্লাহর ইচ্ছায় তার সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ সময় দেশবাসীর সচেতন থাকার এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত সকল আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে সেলেতার বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ঘটনার পেছনে গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় প্রকাশ্যে তাকে গুলি করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে বক্স কালভার্টের সামনের এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, হামলার সঙ্গে যুক্ত খুনিদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমর্থক ও নাগরিকরা তার সুস্থতা কামনা করছেন। উন্নত চিকিৎসা এবং আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলার সঙ্গে যুক্ত সকলকে শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ভোটপ্রক্রিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে নতুনভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতা বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বাস্থ্য সেবা এবং জরুরি চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বও এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে।


