খেলাধুলা ডেস্ক
আগামী ১৫ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে অংশ নেবে কিউই যুব দল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। আসন্ন এই বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের যুব দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন টম জোন্স। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের মাধ্যমে নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন করায় তাকেই দলটির নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের আগে বিভিন্ন প্রস্তুতি ম্যাচ ও সিরিজে অভিজ্ঞতা অর্জন করা একাধিক ক্রিকেটারকে দলে রাখা হয়েছে, যাতে চাপের মুখে দল ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
ঘোষিত স্কোয়াডে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি নতুন প্রতিভার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। আরিয়ান মান, ম্যাসন ক্লার্ক, জাসকারান সান্ধু ও স্নেহিত রেড্ডির মতো ক্রিকেটাররা এর আগে বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পর্যায়ে নিয়মিত খেলেছেন। তাদের উপস্থিতি দলের ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগে স্থিরতা আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে অলরাউন্ড সক্ষমতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি দলকে বিভিন্ন ম্যাচ পরিস্থিতিতে কৌশলগত সুবিধা দেবে।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দলে জায়গা পেয়েছেন উগো বোগে, ব্র্যান্ডন মাতজোপৌলোস, মার্কো আলপে ও জ্যাকব কটার। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং অনুশীলন ক্যাম্পে ভালো ছন্দে থাকার কারণে নির্বাচকরা তাদের ওপর আস্থা রেখেছেন। নতুন এই ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ পাবেন।
দলের কোচিং স্টাফেও অভিজ্ঞতার ছাপ রয়েছে। সাবেক নিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক ব্যাটার অ্যান্টন ডেভচিচ প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা এবং তরুণ ক্রিকেটার গড়ে তোলার কাজে যুক্ত থাকার কারণে ডেভচিচের উপস্থিতি দলের প্রস্তুতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে নিউজিল্যান্ড তাদের অভিযান শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এরপর তারা মুখোমুখি হবে ভারত ও বাংলাদেশের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের। এই গ্রুপকে তুলনামূলকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তিনটি দলই বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স করে আসছে। গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচই পরবর্তী পর্বে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বমঞ্চে ধারাবাহিক উন্নতি দেখিয়েছে এবং একবার শিরোপাও জিতেছে। ফলে কিউই যুব দলের জন্য এই ম্যাচটি হবে নিজেদের সামর্থ্য যাচাইয়ের বড় সুযোগ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্যও এটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলটি বিশ্বকাপের আগে প্রয়োজনীয় অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার মাঠ ও আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে রয়েছেন টম জোন্স (অধিনায়ক), মার্কো আলপে, উগো বোগে, হ্যারি বার্নস, ম্যাসন ক্লার্ক, জ্যাকব কটার, আরিয়ান মান, ব্র্যান্ডন মাতজোপৌলোস, ফ্লিন মরি, স্নেহিত রেড্ডি, ক্যালাম স্যামসন, জাসকারান সান্ধু, সেলভিন সঞ্জয়, হান্টার শোরে ও হ্যারি ওয়েট। এই দল নিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছে নিউজিল্যান্ড শিবির।


