তারেক রহমান দেশে ফিরবেন ২৫ ডিসেম্বর, নিরাপত্তা জোরদার

তারেক রহমান দেশে ফিরবেন ২৫ ডিসেম্বর, নিরাপত্তা জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য। দল জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে আসবেন, যার ল্যান্ডিং টাইম ১১টা ৫৫ মিনিট।

দেশে ফেরার পর তারেক রহমান গুলশানের ১৯৬ নম্বর স্থানে থাকা নিজস্ব বাসায় উঠবেন। বাসাটি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, দেয়াল জুড়ে তারকাঁটা লাগানো হয়েছে এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা কঠোর পাহারা দিচ্ছেন।

নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিলেও সরকারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারের সরাসরি সহযোগিতা অপরিহার্য। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তাও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভূরাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল মো. জগলুল আহসান বলেন, “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শকে সামনে রেখে কাজ করার সময় রিজিওনাল শক্তিগুলোর স্বার্থের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হতে পারে। চায়না, ইউএসএ এবং ভারতীয় শক্তিগুলো অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে থাকে। এসব অবস্থায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি জটিল বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, “যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে, একইভাবে তারেক রহমানের নিরাপত্তাও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল বা এসএসএফের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব। এখানে কূটনৈতিক নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সংস্থা-নির্ভর ব্যবস্থার সমন্বয় প্রয়োজন।”

বিশ্লেষকদের মতে, দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সামনে রেখে ক্ষমতার পালাবদলের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে বিএনপির প্রধান নেতার নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, দলীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সমন্বয় ছাড়া তারেক রহমানের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ স্তরে নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে। এ অবস্থায় সরকারের সক্রিয় ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক সহায়তা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরার মুহূর্তটি কেবল রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ