শহীদ শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

শহীদ শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শহীদ শরীফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতে অংশ নেন।

কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফারহাদসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের একাধিক নেতা।

ফজরের নামাজ আদায়ের পর জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান শহীদ শরীফ ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরাও শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন। কবর জিয়ারত শেষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সেখানে অবস্থান করেন তিনি।

কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. শফিকুর রহমান শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জীবন ও কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জানান, ওসমান হাদি তার সময়ের একজন সক্রিয় সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার কর্মকাণ্ড দলীয় রাজনীতি ও সাংগঠনিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করা এবং তাদের আদর্শ থেকে শিক্ষা নেওয়া রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে অতীতের ঘটনাবলি স্মরণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পথচলা সম্পর্কে দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।

শহীদ শরীফ ওসমান হাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নাম বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন ও সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে আলোচিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তার জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসারীদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবর জিয়ারত কর্মসূচিকে ঘিরে ভোর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সম্পন্ন হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক ছিল।

রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে শহীদদের কবর জিয়ারত ও স্মরণ কর্মসূচি সাধারণত অতীতের রাজনৈতিক ইতিহাস ও দলীয় আদর্শ পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে দেখা হয়। সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের কর্মসূচি দলের ভেতরে সাংগঠনিক সংহতি বজায় রাখা এবং কর্মীদের মধ্যে ঐতিহাসিক সচেতনতা তৈরি করতে ভূমিকা রাখে।

কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে স্থান ত্যাগ করেন। কর্মসূচি শেষে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতারা নির্ধারিত অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নেন।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ