বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, তিনি নিজের বিশ্বাস ও হৃদয়ের টানে বাংলাদেশে এসেছেন এবং বর্তমানে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন দেশ তা তিনি কল্পনাও করেননি। ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনৈতিক নেতা আরও উল্লেখ করেছেন, তাঁর সারা জীবন তিনি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
জাতীয় ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে করা একটি পোস্টে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ তাঁর কল্পনার দেশের সঙ্গে মিলছে না। তিনি লিখেছেন, “আজ যে বাংলাদেশ দেখছি—এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি। অত্যন্ত পরিষ্কার, এখানে কথা বলার কিছু নেই।”
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কথা বলার অধিকার বিপন্ন হয়েছে। মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেছেন, জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত যুদ্ধ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ ছিল এবং আজ সেই অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার মুখে পড়েছে।
মহাসচিব পাঠক ও গণতন্ত্রকামীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নয়, সকলের এখন এক হওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেছেন, যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চায়, যারা সত্যিকারের স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চায়—তাদের সচেতন হওয়া যথেষ্ট নয়, রুখে দাঁড়ানোও জরুরি।
তিনি আরও বলেছেন, “আমি আপনাদের আহ্বান জানাবো শুধু এখানে এসে একাত্মতা ঘোষণা করা নয়, মানববন্ধন করে সংহতি প্রকাশ নয়। আজকে সর্বক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে আপনারা যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসেন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব যৌথভাবে ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন। সভায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্ক ও মনোযোগ বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক নেতাদের এমন আহ্বান ভবিষ্যতে নাগরিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটি দেশজুড়ে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং জনগণের নিরাপত্তা বিষয়ক বিতর্কও উসকে দিতে পারে।


