রাজনীতি ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদকে দুটি আসনে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই দুইটি আসন হলো পটুয়াখালী-৩ এবং ঝিনাইদহ-২।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দলের মধ্যে আসন বণ্টন বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো হয়েছে। বিএনপির পক্ষে বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, মুখপাত্র ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য হাসান আল মামুন, আবু হানিফ ও হাবিবুর রহমান রিজু। গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনের প্রার্থী তালিকা বিএনপির কাছে প্রেরণ করেছিল। বৈঠকে এই তালিকার মধ্য থেকে ১০টি আসনের ওপর আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরুল হক নুর এবং ঝিনাইদহ-২ আসনে রাশেদ খানকে নির্বাচনী সমর্থনের আশ্বাস দেওয়া হবে। একই সময়ে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ফারুক হাসানের জন্য ঠাকুরগাঁও-২ এবং হাসান আল মামুনের জন্য নেত্রকোনা-২ সহ আরও চারটি আসনের জন্য সমর্থনের অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, “বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আগেই ২৫টি আসনের তালিকা দিয়েছিলাম। এই তালিকার ভেতর থেকে যাচাই-বাছাই করার পর বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে।”
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, গণঅধিকার পরিষদকে নিজস্ব প্রতীক ‘ট্রাক’ ব্যবহার করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সমঝোতা দুই দলকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় একটি স্থিতিশীল সহযোগিতার সুযোগ দিচ্ছে, যা আসন বণ্টনের বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলগুলোর মধ্যে এ ধরনের সমঝোতা রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব ও ভোটে কৌশলগত সমন্বয়ের একটি সাধারণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষত, ছোট রাজনৈতিক দলগুলো বড় দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করলে তাদের নির্বাচনী সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, এই ধরনের সমঝোতা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত প্রতীক ব্যবহারের অধিকার নিশ্চিত করে।
তবে সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য দাবির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপি উল্লেখ করেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে অবশিষ্ট আসনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে, আগামী নির্বাচনে এই দুই দলের মধ্যকার রাজনৈতিক সমন্বয় এবং ভোট বণ্টন কৌশল ভোটের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।


