প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ

প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ

আইন আদালত ডেস্ক

বাংলাদেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। সরকারি সূত্রে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এই তথ্য জানা গেছে এবং যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে। নতুন প্রধান বিচারপতি আগামী ২৮ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ করবেন।

সংবিধান অনুযায়ী, ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার অবসরের আগেই প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। বর্তমানে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ওমরাহের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি অনুপস্থিত থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

জুবায়ের রহমান চৌধুরীর বিচারিক জীবন দীর্ঘ এবং বিচক্ষণতার পরিচায়ক। তিনি ১৯৮৫ সালে জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে তার নিয়োগ কার্যকর হয়। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।

শিক্ষাজীবনে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন করেছেন। বিচারিক ক্ষেত্রে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা প্রদান করবে।

নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে নেতৃত্বের দায়িত্বে আসার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে তার বিচারিক কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক দক্ষতা দেশের বিচার ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শপথগ্রহণের পর তিনি দেশের সংবিধান এবং আইনের শাসন রক্ষায় প্রধান আদালতের সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন।

এই নিয়োগের ফলে দেশের বিচার বিভাগে নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটছে এবং এটি সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রধান বিচারপতি হিসেবে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বিচার বিভাগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং আদালতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

আইন আদালত শীর্ষ সংবাদ