নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং এ নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল তা দূর হয়েছে। তিনি শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন।
শফিকুল আলম পোস্টে লিখেছেন, সাধারণ নির্বাচন এবং গণভোট এখন মাত্র ৪৯ দিন দূরে। তিনি বলেন, “আমি কখনো সন্দেহ করিনি যে নির্বাচন ঠিক সময়ে হবে, যদিও এমন কিছু মুহূর্ত ছিল যখন আমার উদ্দীপনার উদ্দীপনা কাটিয়ে উঠতে হয়েছিল। গতকালের ঘটনা ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নির্ধারিত হবে কি না, তা নিয়ে সমালোচকদের যত সংশয় ছিল তা মুছে দিয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রেকর্ড ভঙ্গকারী জনতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে ৩০০ ফুট উচ্চতায় সমবেত হয়। শফিকুল আলম বলেন, “এটি দেশের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট প্রমাণ। দু-এক দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল শুরু হবে। এরপর হাজার হাজার প্রার্থী দেশে ফিরে আসবেন। প্রিন্টিং প্রেসগুলো কাজে গর্জন করবে এবং টেলিভিশন স্টেশনগুলোতে নির্বাচনী বিতর্ক শুরু হবে, যা গ্রামস্তরে পৌঁছে যাবে।”
প্রেসসচিবের মন্তব্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ এখনও রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গভীর বিভাজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “দেশ গভীর ক্ষত বহন করছে—একটি চির-বিস্তৃত ফ্র্যাকচার, যা শুধুমাত্র একটি সত্যিকারের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সারিয়ে তুলতে পারে।”
নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। মনোনয়নপত্র দাখিল, প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই এবং প্রচারণার সূচনা সবকিছুই নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সম্পন্ন হবে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে গণ্য হবে। তারা বলছেন, সময়মত নির্বাচন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শফিকুল আলমের পোস্টে দেশের সাধারণ জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।


