জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গতকাল রাত ২টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় ‘এডভেঞ্চার-৯’ ও ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ পরিদর্শন করেছেন। তিনি নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নদীপথ সাধারণত নিরাপদ হলেও এ ধরনের দুর্ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি উল্লেখ করেছেন, রাতের সময় লঞ্চ চলাচলের সময় প্রায়শই লাইট ব্যবহার করা হয় না, যা দুর্ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য মন্ত্রণালয় আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই লঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উপদেষ্টা আরও জানান, ইতোমধ্যেই কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— রাতে কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে, কোথাও দাঁড়ালে অবশ্যই লাইট ব্যবহার করতে হবে, এবং বাল্কহেড সকাল ৮টার আগে চলাচল করতে পারবে না। এই নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করা হবে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ঝড় বা তুফানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু যেভাবে দু’টি লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, তা নির্দেশ করে যে চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বা অন্য কাউকে দিয়ে লঞ্চ চালানো হচ্ছিল। তবে তদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে কোনো লঞ্চ চালক সঠিকভাবে লঞ্চ পরিচালনা না করলে, রাতে লাইট ব্যবহার না করলে বা নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
নিহতরা হলেন— আ. গনি (৩৮), মো. সাজু (৪৫), মো. হানিফ (৬০) এবং মোসা. রিনা (৩৫), যারা সবাই ভোলা জেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং নৌপরিবহন বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।


