নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগের পর দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা বিএনপিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনের মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
তাসনিম জারা শনিবার নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছিলেন, তিনি ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এঘটনায় রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে। তবে তাসনিম জারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি বিএনপিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা রাখেননি।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাসনিম জারার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই আসনে ভোটারদের বিভিন্ন রাজনৈতিক ধারা এবং দলীয় সমর্থনের দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন প্রমাণিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। এটি তাসনিম জারাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আইনি ধাপগুলো পূর্ণ করতে বাধ্য করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরণের পদক্ষেপ নির্বাচনী মাঠে নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা তৈরি করতে পারে। তাসনিম জারার পদক্ষেপ দলের রাজনৈতিক ভৌগোলিক প্রভাব এবং ভোটারের মনোভাব উভয়ের ওপরই প্রভাব ফেলবে।
এই মুহূর্তে ঢাকা-৯ আসনে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা এবং ভোটপ্রক্রিয়া সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া যাবে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তাসনিম জারার এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং স্থানীয় ভোটারদের প্রতিক্রিয়ার দিক থেকে গুরুত্ব বহন করছে, যা আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।


