ফেনী-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু মনোনয়ন জমা দিলেন

ফেনী-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু মনোনয়ন জমা দিলেন

জেলা প্রতিনিধি

ফেনী: আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রার্থী হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও জোটের বৃহত্তর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ফেনী-২ আসনের নির্বাচনে অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মুফতি আবদুল হান্নানের বক্তব্যে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে জোটের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এটি মূলত জোটের মধ্যে সমঝোতা এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুরের দিকে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মনিরা হকের কাছে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঞ্জু বলেন, “ফেনী-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন এবং অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। এটি জোটের মধ্যে ইতোমধ্যেই আলোচনা ও সমঝোতার অংশ। এ দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, যা আমি একটি বড় ত্যাগ হিসেবে মনে করি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুর মনোনয়ন জমা দেওয়ায় ফেনী-২ আসনের নির্বাচনী পরিবেশে নতুন গতিশীলতা আসতে পারে। ফেনী-২ এলাকায় প্রচলিত রাজনৈতিক সমীকরণ অনুযায়ী, জামায়াত এবং এবি পার্টির মধ্যে সমঝোতা স্থানীয় নির্বাচনে জোটের স্বার্থ রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ফেনী-২ আসনের এ ঘটনা নির্বাচনী রাজনীতিতে জোটভিত্তিক সমঝোতার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং স্থানীয় জনমতকে মিলিয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর প্রভাব আগামী নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটাভুটিতে উল্লেখযোগ্য হতে পারে।

এদিকে, রাজনৈতিক মহলে আশা করা হচ্ছে যে এই সিদ্ধান্ত ফেনী-২ আসনের ভোটারদের মধ্যে একটি সমন্বিত ভোটিং প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে এবং জোটের লক্ষ্য অনুযায়ী ভোটের ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ