জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এবং শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ (বুধবার) ঢাকায় পৌঁছেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। জাতীয় সংসদ ভবনে আগত এই অতিথিরা দেশের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শোক প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একাধিক উপদেষ্টা বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তারা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি. এন. ধুঙ্গেলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আন্তরিক শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতের সময় উপদেষ্টা কর্মকর্তারা শোকের এই সময়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং তাদের উপস্থিতির জন্য অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তারা এসময় জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাস ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের প্রতি সম্মান জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিদেশি প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি তার রাজনৈতিক ও জাতীয় জীবনের মর্যাদা তুলে ধরে। তারা বাংলাদেশে আসার মাধ্যমে শুধু শোক প্রকাশ করেননি, পাশাপাশি দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতা ও কূটনীতিকরা সামাজিক ও কূটনৈতিক মাধ্যমে তাদের শোক জানিয়েছেন। আজকের সাক্ষাতের মাধ্যমে এই সমবেদনা আনুষ্ঠানিক রূপ পায় এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংহতির প্রতিফলন ঘটে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই মুহূর্তটি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল এসে দেশবাসীর শোক ও সমবেদনার সঙ্গে নিজস্ব শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এই ঘটনাটি শুধু একটি শোকের প্রতীক নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক বন্ধুত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিচ্ছবি হিসাবেও বিবেচিত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের উপস্থিতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মর্যাদা এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা যেতে পারে।


