নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাসের উপস্থিতি ছিল জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিনি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি হান্নান মিয়া নিজেও এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি কয়েকদিন আগেও তিতাস গ্যাসকে এ লাইন সংস্কারের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিতাস তখন ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ার কারণে লাইন মেরামত বা সংস্কার করেনি। ফলে লিকেজ হয়ে অন্য দিনের মতই গ্যাস জমে যায় মসজিদে। আর গরমের কারণে এসি চালানোর ফলে বাতাস বের হতে না পারায় গ্যাস জমে যায়। আর সেই থেকেই মূলত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর মিয়া যুগান্তরকে বলেন, কয়েকদিন আগেও আমাদের একজন লোক সাঈদ সাহেব তিতাসকে গিয়ে লিকেজের কথা জানায়। তখন তিতাস থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা যোগাড় করা যায়নি। ফলে আমাদের এত হতাহতের ঘটনা ঘটলো।
এদিকে বায়তুল সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে সেই মসজিদে আর আজান বা নামাজ হয়নি।
ঘটনার পর শনিবার এ মসজিদে ফজরের আজান হয়নি। অনুষ্ঠিত হয়নি নামাজও। এর আগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর শনিবার রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মেম্বারের ভাই আবুল কাশেম জানান, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়েছি, মুয়াজ্জিন মারা গেছেন। এখনো মসজিদে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ অবস্থায় এখনো এ মসজিদে নামাজ হয়নি।