ক্যাসিনো কারবারিতে জড়িত অন্তত ১৬০ ব্যক্তিকে অনুসন্ধানের আওতায় এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ক্যাসিনো কারবারির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৩৩টি মামলা করেছে কমিশন। এসব মামলার ২২টিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আর ১১টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে নিজস্ব অনুসন্ধানে ক্যাসিনো কারবারসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। সম্পদবিবরণীর নোটিস দেওয়ার আগেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে কমিশন।
দুদকে ক্যাসিনো বিষয়ে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে ক্যাসিনোসংক্রান্ত অনুসন্ধান কিছুটা বিঘ্নিত হয়। তবে বর্তমানে পূর্ণগতিতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে দুদক চেয়রম্যান ইকবাল মাহমুদ গতকাল শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছি, বালামুসিবত (করোনা মহামারী) থাকবে। এজন্য কাজ বন্ধ রাখলে চলবে না। আমরা অনুসন্ধান দ্রুততার সঙ্গে শেষ করে ক্যাসিনো কারবারে সম্পৃক্তদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাই। এজন্য আমাদের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন।’
ক্যাসিনো কারবারির তালিকায় মোট ১৬০ জনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা অনুসন্ধান দল ভালো বলতে পারবে। ক্যাসিনো ও অন্যান্য অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত ১৫৯ জনের একটি তালিকা শুরুর দিকে তৈরি করে কমিশন। পরে এই তালিকায় আরও কিছু নাম যুক্ত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছ থেকে তাদের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক মহাপরিচালক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গত বছরের ১১ অক্টোবর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ফকিরাপুল ইয়ংম্যান্স ক্লাবে অভিযান এবং যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে। এরপর ক্যাসিনো কারবারিতে যেসব নাম আসে, তাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ শাখার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ পর্যন্ত কমিশন ১৬০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। এদের মধ্যে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আরও ১০০ জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শেষের পথে। তাদের অধিকাংশের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ায় কমিশন সম্পদবিবরণী চাওয়ার আগেই মামলা করতে পারবে। কারও কারও ক্ষেত্রে মামলা করার পর তাদের সম্পদবিবরণী দাখিল করতে বলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তালিকায় থাকা ১৬০ জনের মধ্যে অনেকে সরাসরি ক্যাসিনো কারবারিতে সম্পৃক্ত। কিছু নাম এসেছে বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের যোগসাজশে টেন্ডার জালিয়াতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে। ক্যাসিনো কারবারে সম্পৃক্তদের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ভূমি অফিস, রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ন কর্র্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, বিভিন্ন পৌরসভা, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিআইএফইউ), ডাকঘর, বিভিন্ন তফশিলি ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পর অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে দেশের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে থাকা সম্পদের তথ্য চেয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স রিকুয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। এমন অন্তত ২৫ জনের বিষয়ে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।’
কমিশনের এক পরিচালক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ক্যাসিনো বিষয়ে অনুসন্ধান অত্যন্ত জটিল কাজ। তাই আমরা সরাসরি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ কারণে ইতিমধ্যে দুদকের করা মামলাগুলোতে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের ধারা দেওয়া হয়েছে। অন্য মামলাও একইভাবে করা হবে। আর পরে বিশদ অনুসন্ধানে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’
দুদক কর্মকর্তারা জানান, যাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশনের গোয়েন্দা অনুসন্ধান দল কাজ করছে। তাদের অবৈধ সম্পদ ও জালিয়াতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য হাতে আসায় অনেকেরই সম্পদবিবরণী চাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এ বিষয়ে কমিশনের সচিব ও সিনিয়র সচিব দিলওয়ার বখত বলেন, ‘কার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হবে; কার হবে না, সেটি তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন। তাড়াছা প্রত্যেক সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে পৃথক অনুসন্ধান চলছে। সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে চাওয়া তথ্য আসতে সময় লাগে। এজন্য কমিশন তাড়াহুড়োর পরিবর্তে এ বিষয়ে ধীরস্থিরভাবে এগোচ্ছে।’
কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার অভিযোগে ৩৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৩ ও ২৪ অক্টোবর দুদক সরকারদলীয় হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, বরখাস্ত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বরখাস্ত যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজিব, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, তার স্ত্রী সুমি রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি একেএম মমিনুল হক সাঈদ, গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া, সম্রাটের সহযোগী জাকির হোসেন এবং কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলাম, ঠিকাদার জিকে শামীম, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, তার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, গণপূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এম আবদুল হাই, জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেডের পরিচালক সেলিম প্রধান, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ এবং ব্যবসায়ী এম শফিকুল ইসলামের নামে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এছাড়া ক্যাসিনো ও জিকে শামীম সম্পৃক্ততায় গত বছরের ৩০ অক্টোবর কমিশন গণপূর্ত বিভাগের নয় প্রকৌশলীসহ ১১ কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ক্যাসিনো সম্পৃক্ততায় তাদের অনুসন্ধানের তালিকায় যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী ও সন্তান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি রয়েছেন। ইতিমধ্যে কমিশন তাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে।
এছাড়া দুদকের তালিকায় রয়েছেন, ফেনী পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন, ঢাকা উত্তরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যবসায়ী বনানী গোল্ড ক্লাবের সদস্য আবদুল আওয়াল ও আবুল কাশেম, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক ভূইয়া, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাতেনুল হক ভূইয়া, শিক্ষা অধিদপ্তরের ঠিকাদার মো. শফিকুল ইসলাম। কমিশন ইতিমধ্যে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দুদকের অনুসন্ধান তালিকায় আরও যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বাস মালিকদের নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদউদ্দিন আহম্মেদ রতন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, গুলশানের রাজা মোহাম্মদের ছেলে আহাদ মোহাম্মদ ও ওমর মোহাম্মদ, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহুমুদ জুনায়েদ, মো. জহুর আলম, আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার, শরফুল আওয়াল, নাদিম (ওমানে থাকা সন্ত্রাসী), জিসান (জার্মানিতে থাকা সন্ত্রাসী), মগবাজারের জাকির, নয়াটোলার সেন্টু, শোভন, বাড্ডার নাসির, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভূঁইয়া, ৪১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পদক বাতেনুল হক ভূঁইয়া, হারুন অর রশীদ, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম সোহেল, ঠিকাদার জামাল হোসেন, ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, ঠিকাদার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুমিতুর রহমান, গণপূর্তের প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, প্রকৌশলী শওকত উল্লাহ, প্রকৌশলী ফজলুল হক, প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন, প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন, প্রকৌশলী আব্দুল মমিন চৌধুরী, প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ, প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, বান্দরবান সিলভার ওয়ান রিসোর্টের জসিম উদ্দিন মন্টু, ফজলুল করিম স্বপন, জামিল উদ্দিন, এসএইচএম মহসীন, উম্মে হাবীবা আক্তার, জিয়া উদ্দিন আবীর, জাওয়াদ উদ্দিন, গৃহায়নের সাজ্জাদ, জিকে শামীমের সহযোগী সাজ্জাদ, জিয়া, নাইম, শুল্ক গোয়েন্দার সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শহীদুল ইসলাম, জনৈক মোরশেদুল হকের ছেলে রাশেদুল হক, রাশেদুল হকের স্ত্রী সারিনা তামান্না হক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদুর রহমান, তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার লুনা, তার বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, যুবলীগ নেতা মুরসালিন আহমেদ, তার স্বামী কাওছারী আজাদ, বাবা আবদুল লতিফ, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরান হোসেন প্রিন্স, যুবলীগ নেতা আতিয়ার রহমান দীপু, এমরান হোসেন খান, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগঠনিক সম্পাদক নেতা মাকসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ওরফে বাবর, তসলিম উদ্দিন, কায়সার আহমেদ, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পী, কমলাপুর আইসিডির কমিশনার মোহা. মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার কানিজ ফারজানা শিমু, আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিনুল হক, ঘাটাইলের উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম ও গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার প্রমুখ।