মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর সেটেলমেন্ট অফিস হতে ৩০ ধারা মামলার ৩০টি গায়েব হওয়া নথির ৬ দিনেও সন্ধান মেলেনি। এ ব্যাপারে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এনামুল হক চিরিরবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়রীর কপি দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত সেটি ডায়রীভুক্ত হয়নি। গায়েব হওয়া নথিগুলির মামলা নম্বর।
৫৫,২৭০,৫৮১,১৩২,৪১৩,৩৫০,১১১,৫৮৫,১৯,১৪৯,৯৫,৪৬৫,৩২০,৪৩৮,২২৪,৫৩১,৫৮০,১১৯,৩২১,৪৩৯,১৪৬,৩৯৩,৬৩,৫৮৩,২৯৭,১১৩,৩৩৪,৩৪,৩০৪ ও ৪১। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারী বুধবার চিরিরবন্দর সেটেলমেন্ট অফিস চলাকালীন খামার সাতনালা মৌজার ৩০ ধারা মামলার শুনানীর দিন ধার্য ছিল। সকাল ১১টায় ওই অফিসের অফিস সহায়ক সুবর্না বিনতে জালাল বেঞ্চ ক্লার্ক (বিছি) আব্দুল বাতেনের টেবিলে রেখে পার্শ্বের টেবিলে মামলার বাদীদের হাজিরা সংগ্রহ করছিল। হাজিরা সংগ্রহের পর উক্ত নথিগুলি আর খুজে পায়নি।
পরে বিষয়টি অফিস সহায়ক ডিপুটেশনে থাকা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মানসুর আলীকে অবহিত করালে তিনি সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এনামুল হককে অবহিত করেন। সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার উপায়ন্তর না পেয়ে দিনাজপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেনকে অবহিত করালে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী বা অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেন।
গত ৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার থানায় ডায়রী দায়ের করতে গেলে ডিউটি অফিসার এএসআই মুকুল মিয়া সাধারণ ডায়রীভুক্ত করার অক্ষমতা প্রকাশ করে অভিযোগ বা মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, অফিস হতে কাগজপত্র হারালে সেটি চুরি বা গায়েব করা বলা হয়। এটি সাধারণ ডায়রীর আওতাভুক্ত নয়। চিরিরবন্দর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এনামুল হক জানান, হারিয়ে যাওয়া নথিগুলির ব্যাপারে বেঞ্চ ক্লার্ক (বিছি) আব্দুল বাতেনকে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছি তাছাড়া বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জোর তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার জাকির হোসেনের সাথে ৮ জানুয়ারী মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার এনামুল হককে পরামর্শ দিয়েছি।