মিটছে না ব্রেক্সিট সংকট

একের পর এক আলটিমেটাম ও ডেডলাইনের পরও কাটছে না ব্রেক্সিট সংকট। ব্রেক্সিট-পরবর্তী একটি বাণিজ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক চুক্তিতে পৌঁছাতে গত সপ্তাহে (১৩ ডিসেম্বর) ইইউ ও ব্রিটেনের দেয়া একটি আলটিমেটাম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো কোনো ফল আসেনি।

সর্বশেষ কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দেয়া রোববারের ডেডলাইনও। এখনও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই উভয়পক্ষ। তবে ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ইস্যুতে ইইউ তার অবস্থান না বদলাবে কোনো চুক্তি হবে না। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চুক্তি হবে নাকি আদৌ হবে না আসন্ন ক্রিসমাস তথা বড়দিনের আগেই একটা সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন বিচ্ছেদ-পরবর্তী সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছাতে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল দর-কষাকষি চলছে।

চুক্তি করতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে, নাকি এর সমাপ্তি টানা হবে- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই অনুযায়ী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইইউ’র প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন।

যদিও দুই পক্ষ আগেই জানায়, চুক্তির তেমন সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। তবে আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয় দুই পক্ষ। আলোচ্য বিষয়ের কেন্দ্রে রয়েছে অভিন্ন সাগরে মাছ ধরাসহ আরও কয়েকটি ইস্যু।

সর্বশেষ চুক্তির জন্য রোববার ডেডলাইন ঠিক করে দেয় ইইউ। তবে সেই সময়ও পার হয়ে গেছে। আলোচনা এখন থমকে আছে। রোববার ইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনা এখন থমকে আছে। শুধু মাছ ধরার ইস্যুটিই নয়, ব্রিটেনের আরও কয়েকটি দাবি রয়েছে।’ তবে ইইউ’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফ্রান্স বলেছে, ডেডলাইনের পরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় যুক্তরাজ্যের। ইইউ ও যুক্তরাজ্য এখন অন্তর্র্বর্তী সময় পার করছে, যার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। দুই পক্ষের পরবর্তী সম্পর্ক কেমন হবে, তা নির্ধারণে ওই সময়ের মধ্যে চুক্তি করতে হবে।

ফলে দিন যতই যাচ্ছে তাদের মধ্যে ততই উত্তেজনা বাড়ছে। ইইউর সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই গত সপ্তাহে নাটকীয় একটি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয় ব্রিটেন। দেশটি জানায়, ব্রিটেনের জলসীমায় মাছ শিকার থেকে ইইউ’র জেলেদের প্রতিহত করতে ১ জানুয়ারি থেকে সশস্ত্র টহল শুরু করবে ব্রিটিশ নৌবাহিনী।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ