বিয়ে করলেই ৮ দিনের ছুটি দেবে অফিস। এই সুবিধা ভোগ করতে একই নারীকে পর পর ৪ বার বিয়ে করলেন ওই অফিসের এক কর্মী। এজন্য স্ত্রীকে ৩ বার ডিভোর্স দিতে হয়ে তাকে।
অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানের তাইপেতে। ২০২০ সালের এপ্রিলে এ কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাইপের এক ব্যাংকার।
ইনসাইডার ডট কমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, তাইপেতে অবস্থিত ওই ব্যাংকের নিয়ম হলো- কোনো কর্মী বিয়ে করলে তাকে টানা ৮ দিনের ছুটি দেওয়া হবে। এই ৮ দিনের বেতনও পাবেন তিনি।
এই সুযোগ কাজে লাগাতে গত বছর ৬ এপ্রিল ওই ব্যাংকার প্রথম বিয়ে করেন। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এর জন্য তিনি সবেতনে ৮ দিন টানা ছুটি পান। ১৬ এপ্রিল স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেন তিনি। পর দিন ১৭ এপ্রিল ফের সেই নারীকেই বিয়ে করেন। ২৮ এপ্রিলে আবার ডিভোর্স দেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল সাবেক স্ত্রীকে তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করেন। পরবর্তী মাসের ১১ তারিখে তৃতীয়বারের মতো স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন ব্যাংকার। ঠিক আগের ৩ বারের মতো চতুর্থবার ১২ মে ওই নারীকে বিয়েকে করেন তিনি।
এভাবে তিনি ৪ বার বিয়ে করেন এবং ৩ বার ডিভোর্স দেন। টানা ৩২ দিন ছুটি কাটাতে এই ফন্দি আঁটেন ওই ব্যাংকার।
কিন্তু সফল হতে পারেননি তিনি। তার চালাকি বুঝে যায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাকে আর বাড়তি ছুটি দেয়নি তারা।
মূলত ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় বিয়ে থেকেই তার পরিকল্পনা ছক ধরে ফেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সেদিকে কান না দিয়ে সবেতনে ছুটি কাটাতে প্রতিবার বিয়ে করেছেন ওই ব্যাংকার। এবং প্রতিবারই ব্যাংকের কাছে ছুটির আবেদন করে গেছেন।
জানা গেছে, চতুর্থ বার বিয়ের পর ব্যাংক তার আবেদন নামঞ্জুর করলে তিনি আইনের দ্বারস্থ হন। আইন ভাঙার জন্য ওই ব্যাংকের ৫২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা হয়। জরিমানার বিরুদ্ধে ব্যাংক মামলা করে।
এতে ফেঁসে যাচ্ছে ব্যাংক। কারণ বিষয়টি ওই ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত হলেও তিনি কোনো আইন ভাঙেননি বলে জানিয়েছে আদালত। উল্টো ছুটি না দিতে ব্যাংক নিজেদের আইন মানেনি বলে জানানো হয়। সে কারণে জরিমানা মাফ করেনি আদালত।
সূত্র: ইনসাইডার, নিউইয়র্ক টাইমস