ক্যারিয়ারের ২২ বছর পূর্ণ করলেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। যদিও সুপারস্টার তকমাটা পেয়েছেন অনেক আগেই। প্রায় দুই যুগের চলচ্চিত্র অভিযাত্রায় তিনি নিজেই এখন ঢালিউড চলচ্চিত্রের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন সাফল্য ও ব্যবসার মানদণ্ডে। ক্যারিয়ারের এই ২২ বছরে এসে তাই তিনি স্মরণ করেছেন পেছনের দিনগুলোর কথা। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রথম ছবির প্রযোজক, পরিচালক এবং ভক্তদের।
২২ বছরের এ যাত্রার প্রথম দিনের কথা স্মরণ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুক্রবার (২৮ মে) শাকিব লিখেছেন, যখন চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করি তখন আমি অপরিপক্ক কিন্তু দূরদর্শী ছিলাম। জানতাম না কোথায় যাচ্ছি বা কি করব! শুধু একুটু জানতাম, আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং কোনো সময় হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। আজ যখন ফিরে তাকাই, তখন আমি সকল মানুষ এবং অভিজ্ঞতার কাছে কৃতজ্ঞ।
যাদের জন্য আজকে তিনি শাকিব খান, তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শাকিব লেখেন, ‘আমার প্রথম চলচ্চিত্র অনন্ত ভালোবাসা এর পরিচালক এবং প্রযোজকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, যারা আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। এরপর আমার সকল পরিচালক, প্রযোজক, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ দিচ্ছি যাদের জন্য আজকের আমি তৈরি হয়েছি।’
উল্লেখ্য, নৃত্যপরিচালক আজিজ রেজার সঙ্গে ১৯৯৫ সালে পরিচয় হয় নারায়ণগঞ্জে বেড়ে ওঠা মাসুদ রানার। তার মাধ্যমেই এফডিসিতে প্রবেশ করেন মাসুদ রানা। পরিচিত হন বেশ কয়েকজন চিত্রনির্মাতার সঙ্গে। ওই সময় শাকিল খানের সঙ্গে বিরোধের কারণে নতুন নায়ক খুঁজছিলেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। কাকতালীয়ভাবে পেয়ে যান মাসুদ রানাকে। চুক্তিবদ্ধ করেন ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমায়। এ সিনেমার শুটিংয়ে মাসুদ রানার নাম বদলে দেন পরিচালক সোহান। মাসুদ রানা হয়ে যান শাকিব খান। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অনন্ত ভালোবাসা’। প্রথম সিনেমা ব্যবসা সফল না হলেও নজর কাড়েন তিনি।
সেই মাসুদ রানাই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে সুপারস্টার, মেগাস্টার, কিং খান শাকিব খান। দীর্ঘ এই পথচলায় অভিনেতা থেকে হয়েছেন প্রযোজক। ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। অভিনয় করেছেন কলকাতার সিনেমায়। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ চারবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও পেয়েছেন আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার,তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। এখন শাকিব খান কাজ করছেন লিডার- আমিই বাংলাদেশ সিনেমায়।