করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকেই বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) সম্পর্কে। তাদের মধ্যে প্রশ্ন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কত পরে, টিকা নেয়ার কত পরে অথবা উভয় ক্ষেত্রে একজন মানুষের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাতে কতদিন সময় লাগে? অথবা বুস্টার শটস কতদিন ইমিউনিটি বাড়াতে পারে? এসব প্রশ্ন উঠছেই। কিন্তু কোনো বিশেষজ্ঞ সুনির্দিষ্টভাবে এ বিষয়ে কোনো মত দিতে পারেননি। কেউ কেউ জানার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, এ বিষয়টি জানতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড রিসার্সের পরিচালক ড. পিটার মার্কস বৃহস্পতিবার এক ওয়েবিনারে বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়টি অনিশ্চিত। আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারি না কতদিন এই বুস্টার শট বা টিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
কিছু বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেছেন, যারা করোনা ভাইরাসের টিকা পুরোপুরিভাবে নিয়েছেন তারা সুরক্ষিত থাকবেন। কিন্তু কতদিন সে বিষয়টি অস্পষ্ট। কারণ, এখনও বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তারা সেটা নিয়ে গবেষণা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানাবেন কতদিন রোগ প্রতিরোধ করবে এসব টিকা এবং ভবিষ্যত ভ্যারিয়েন্টগুলোতে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে। যখন একজন ব্যক্তির মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়, এর অর্থ হলো তিনি রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত। কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা যায় টিকা গ্রহণ বা সংক্রমণের মাধ্যমে। একজন মানুষ টিকা নেয়ার পর তার শরীরে এন্টিবডি সৃষ্টি হয়। অথবা কেউ রোগে আক্রান্ত হলে তার বিরুদ্ধে শরীরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্টিবডি সৃষ্টি হয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক সময় এন্টিবডির উপস্থিতি দিয়ে পরিমাপ করা হয়। ইমিউন সিস্টেম সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রোটিন তৈরি করে রক্তে। এ বিষয়টি গবেষণাগারের পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু ইমিউন সিস্টেম এন্টিবডির চেয়ে অনেক বেশি কিছু।