খালেদ মাহমুদের সঙ্গেও লেগে গেল সাকিবের, পরে ড্রেসিংরুমে মিটমাট

খালেদ মাহমুদের সঙ্গেও লেগে গেল সাকিবের, পরে ড্রেসিংরুমে মিটমাট

আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে প্রায়ই নাখোশ হতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের। তবে সাকিব আল হাসান নাখোশ হয়ে যে প্রতিক্রিয়া দেখালেন, ক্রিকেট মাঠে তা একদমই নজিরবিহীন। জোরালো আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় স্টাম্পেই লাথি মেরে বসেছেন মোহামেডান অধিনায়ক। এক ওভার পর স্টাম্প হাতে তুলে আছাড়ও মারেন তিনি।

এভাবেই আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ হয়ে উঠল উত্তপ্ত। তবে এখানেই ঘটনার শেষ হয়নি। স্টাম্প ভাঙা আর আম্পায়ারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর খালেদ মাহমুদের সঙ্গেও লেগে যায় সাকিবের।

দ্বিতীয় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বৃষ্টির কারণে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান যখন খেলা বন্ধের ঘোষণা দেন তখন সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে ছুঁড়ে মেরে মাঠ ত্যাগ করছিলেন। এ সময়  আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে সাকিব কিছু বললে কোচ মাহমুদ খেপে গিয়ে তেড়ে আসেন। এগিয়ে যান সাকিবও, পরে মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তাকে থামান। আর মোহামেডানের শামসুর রহমান থামান মাহমুদকে। পরে অবশ্য পুরো ব্যাপারই মিটে গেছে। সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে মাহমুদের কাছে ক্ষমা চান, এসময় মাহমুদও তাকে জড়িয়ে ধরে ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটান।

এদিকে, খেলা শেষে নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়েছন সাকিব। তিনি  লিখেছেন, প্রিয় অনুসারীরা আমি গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি আমার মেজাজ ধরে রাখতে পারিনি। ম্যাচটি যারা দেখেছেন, বিশেষ করে যারা বাড়ি থেকে ম্যাচটি দেখেছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।  আমার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উচিত হয়নি এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো। কিন্তু কখনও কখনও এমনটা হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের জন্য আমি দল, পরিচালনা কমিটি, টুর্নামেন্টে অফিসিয়ালস এবং সাংগঠনিক কমিটির কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, ভবিষ্যতে আর এর পুনরাবৃত্তি করবো না। ধন্যবাদ, আপনাদের ভালোবাসি।

খেলাধূলা