বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশের সময় এক চীনের নাগরিককে পশ্চিমবঙ্গের মালদায় আটক করেছে বিএসএফ। সে অবৈধভাবে প্রায় ১৩০০ ভারতীয় সিমকার্ড চীনে পাচার করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হ্যাকিং ও অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সিম কার্ড পাচারের অভিযোগে পূর্বেই আটক আদেশ ছিলো বলে জানায় বিএসএফ।
জিজ্ঞাসাবাদে চীনের নাগরিক হেন জুনউই জানা যায়, এই সিমকার্ডগুলো দিয়ে হ্যাকিং এবং অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কাজ করছিলেন তারা। হেন এবং তার সঙ্গীরা জামার ভিতরে লুকিয়ে এই সিমগুলো নিয়ে যেত চীনে।
শুক্রবার বিএসএফ কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানায়, মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য এই সিমগুলো ব্যবহার করেছে তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কালিয়াচকের গোলাবগঞ্জ থানায় জব্দকৃত সবকিছুসহ চীনের এই নাগরিককে হস্তান্তর করে বিএসএফ। হেন জুনউইয়ের ব্যবসার আরেকজন অংশীদার সুন জিয়াংকে সম্প্রতি এটিএস লাখনাউ আটক করে। মূলত অর্থ হাতিয়া নেয়া এবং ভারতের সিম কার্ড চীনে পাচারের দায়ে তাকে আটক করা হয়। এটিএস-এর জিজ্ঞাসাবাদে সুন জিয়াং তার সঙ্গে ব্যবসা করা হেন জুনউইয়ের নাম জানায়।
এটিএস মামলা করায় এবং আটক আদেশ থাকায় হেন জুনউই ভারতের ভিসা পেতে ব্যর্থ হয়। আর সে কারণেই বাংলাদেশে ব্যবসায়ী ভিসায় প্রবেশের পর চোরাই পথে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে এই চীনের নাগরিক। তাকে আটকের পরপর মোহাদিপুর বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
জিজ্ঞাসাবাদে এই চীনের নাগরিক জানান, এর আগে চারবার ভারতে এসেছেন তিনি। হায়দ্রাবাদে ২০১০ সালে প্রথম আসার পর দিল্লি-গুরুগ্রামে ২০১৯ সালে তিনবার আসেন তিনি। এই চীনের নাগরিক দাবি করেন, গুরুগ্রামে তার ‘স্টার স্প্রিং’ নামে একটি হোটেল রয়েছে যেখানে চীনের কিছু নাগরিক চাকরি করে।
আটককৃত চীনের নাগরিক হেন জুনউইয়ের কাছ থেকে অ্যাপল ল্যাপটপ, দুইটি আইফোন, একটি বাংলাদেশ সিম কার্ড, একটি ভারতীয় সিম কার্ড, দুইটি চাইনিজ সিম কার্ড, দুটি পেন ড্রাইভ, তিনটি ব্যাটারি, দুটি ছোট টর্চ, ৫টি অর্থ লেনদেনের মেশিন, দুইটি এটিএম/মাস্টারকার্ড এবং মার্কিন, বাংলাদেশি এবং ভারতীয় মুদ্রা জব্দ করা হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।