করোনার সময়ে কম বেশি সবাই ইমিউনিটি বাড়ানোর দিকে নজর রেখেছে, প্রত্যেকেই চিকিৎসকের কথা মতো, নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের কী খাওয়া উচিত সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিত। তবে ইমিউনিটি বজায় রাখতে কয়েকটা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রতিদিনের ডায়েটে চিনির পরিমাণ সীমিত করা দরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চিনির উচ্চমাত্রার খাবারগুলো শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং টিউমার নেক্রোসিস আলফা, C-reactive protein এবং Interleukin-6 প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে, এগুলো সমস্তই ইমিউন সিস্টেমকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, এছাড়াও, উচ্চ রক্তে শর্করা শরীরে ক্ষতি করতে পারে, ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে, যা পরে প্রতিরোধ ক্ষমতাতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
প্যাকেটের চিপস, বেকারি আইটেম, এবং হিমশীতল নৈশভোজগুলোতে লবণ থাকায়, লবণের ইমিউনিটি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। প্রয়োজনের বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ভাজা খাবারগুলোতে উন্নত গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্ট (AGE) বেশি থাকে যা চিনি যখন উচ্চ-তাপমাত্রা রান্নার সময় প্রোটিন বা ফ্যাটগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায়,খুব উচ্চ স্তরের এজিইগুলি দেহের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রক্রিয়াগুলি সহ সেলুলার কর্মহীনতা এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে যা প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলু চিপস, প্যান-ফ্রাইড স্টেক, ফ্রাইড বেকন এবং মাছের মতো ভাজা খাবারগুলি আপনার এজিএস গ্রহণের পরিমাণ কমাতে পারে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
কফি এবং চাতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, অত্যধিক ক্যাফিন গ্রহণ ঘুমও কমিয়ে দেয় যা ইমিউনিটি কমাতে পারে, ইমিউন ফাংশন সমর্থন করার জন্য, কোনও পুষ্টিবিহীন ক্যাফিনেটযুক্ত সোডা বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি এমন পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।