নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস রোধে দেশে ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর তিনটি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে সকাল ৯টায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
একই সময় শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট পরিচালক ফারুক আহমেদ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে ১২০ জন করে মোট ৩৬০ জনকে এ টিকা দেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল রোববার করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব হাসপাতালে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন কিন্তু টিকা গ্রহণ করেননি তারা এ টিকা নিতে পারবেন। যারা টিকা গ্রহণ করবেন তাদের সাতদিন অবজারভেশনে রেখে পরবর্তীতে সারাদেশে এ টিকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফাইজারের টিকাটির তাপমাত্রা সেনসিটিভ। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরের ৩টি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিনটি দেবো। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এই তিনটি হাসপাতালে ফার্স্ট রান চালু হবে। সেখানে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ১২০ জন মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ টিকার প্রথম ডোজের সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ সপ্তাহ বা ২৮ দিন। এ ছাড়া টিকা কেন্দ্রের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা আগের মতোই প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে রাত ১১টা ২২ মিনিটে ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। করোনার টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে এ টিকা পেল।