শাহ্ আলম শাহী,স্টাফ রিপোর্টার,দিনাজপুর থেকেঃ পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। খাদ্যের কোনো সংকট হবে না।চলমান অর্থবছরে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বন্যা প্লাবিত এবং বন্যা হতে পারে এমন ৩৩টি জেলায় ১০ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমরা ঘরে বসে নেই। জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে,তাদের চাহিদামত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুরে বন্যা কবলিত এলাকা ও ভেঙে যাওয়া শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রয়াজনে বন্যার্তদের মানবিক সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিনের বর্ষণে দিনাজপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, বিরোধী দলীয় হুইপ শওকত চৌধুরী, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, জাতীয় পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সফি রুবেল, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, জেলা সেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি আবু ইবনে রজব,দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আর্টিষ্ট, স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সেনাবাহিনীর স্প্রীড বোডে করে পূণর্ভবা নদী ঘুরে বন্যা দূগর্ত এলাকা পরিদর্শন এবং পরে বন্যা দূর্গতদের আশ্রয়স্থল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ,কর্ণাই গ্রাম শিবির ঘুরে দেখেন ও দূগর্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।