এমপি লিটন হত্যায় জামায়াত নেতাসহ গ্রেফতার আরও ৫

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় গতকাল ভোরে সন্দেহভাজন হিসেবে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ থানাসূত্র জানায়, ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মোজাম্মেল হক (৪৫), শিবির নেতা এরশাদ আলী (৩০), জামায়াত কর্মী আমীর হামজা (৪৫), ছাপড়হাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা (৪৬) ও শিবির কর্মী জহুরুল ইসলাম (৩০)। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। সংসদ সদস্য হত্যা মামলায় জড়িত কিনা, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে গতকালই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও দুজন নিখোঁজ : নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবদলের চার নেতার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আরও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্যই দিতে পারছে না। গতকাল নিখোঁজ নেতাদের সন্ধান দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। নতুন নিখোঁজ দুজন হলেন সাদুল্যাপুরের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলাম রতন ও সুন্দরগঞ্জের শিবরামপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এ দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু গতকাল পুলিশ জানিয়েছে, এদের সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। রতনের ভাই নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ওসমানপুর গ্রামে তার খালুশ্বশুরের বাড়ি থেকে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম রতনকে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু এখন আর তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ সাইফুলের স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, তার স্বামীকে দুই দিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে দিনাজপুরের আউলিয়াপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তার পর থেকে তারও খোঁজ মিলছে না।

Others