চিরিরবন্দরে ঋণের কিস্তির খড়গ বন্যাদুগর্তদের লিখিত

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুর চিরিরবন্দরে বন্যাকবলিত এলাকায় জোর পূর্বক এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা আদায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সুকদেবপুরের এলাকাবাসী। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা এ এলাকার বেশির ভাগ কৃষক কৃষি কাজের জন্য বিভিন্ন বেসরকারি এনজিওর কাছে কড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষি কাজে ব্যায় করে থাকেন। উৎপাদিত ফসল থেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন এবং লভ্যাংশ দিয়ে পরিবার-পরিজন পরিচালনা করেন। কিন্তু চলমান বন্যা তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। বাড়ি ঘর সবই এখন ভেঙ্গে চুড়মার হয়েছেএখন তাদের প্রয়োজন পূর্নবাসন। তারা আশ্রয় নিয়েছে আশে-পাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।তাদের করুন অবস্থায় তাদের দেখার কেউ নাই।এমন অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও গুলো বন্যাদুগর্তদের মানুষকে সহায়তা না করে উল্টো ঋণেরকিস্তি আদায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।অসহায় বন্যার্ত মানুষ কিস্তি দিতে সামান্য বিলম্ব করলেও মানছেন না এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়ের দায়িত্বে থাকা মাঠকর্মীরা।এমনত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার আব্দুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সুকদেবপুরের এলাকাবাসী আছিয়া,সাবিনা,কোহিনুর,আছেমা,মাহামুদা,বানু,বিলকিস,সহিদা,রাহেনা,মনজু,মৌসুমি,শারমিন,আফরোজা,নাছিমাসহ বন্যাকবলিত এলাকার গ্রামীন ব্যাংক, আশা, টিএমএস এর এনজিও সদস্যরা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেবলেন,প্রতি সপ্তাহের মতোই এনজিও কর্মীরা এসে ঋণের কিস্তি আদায় করছে। না দিতে চাইলে নানা রকম কথা বলছেন।কয়েক জনের কিস্তির টাকা বাকি থাকলে সেগুলো সন্ধায় এসে পুনরায় নিবেন বলে জানিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৪-১৫ আগষ্ট সরকারি ছুটির দিন থাকায় আশা ও গ্রামীন ব্যাংকের ঋণের কিস্তির চাপ থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে ওই এনজিওর সদস্য সুকদেবপুরেরমোরশেদা,নিলুফা,আনোয়ারা,জিন্নাতুন আরো অনেকে জানান, উপজেলার এনজিও গুলোর মধ্যে ব্র্যাক,গ্রামীনব্যাংক,টিমএমএস,ঠেঙ্গামারা ও অন্যগুলোর এনজিওর এরিয়া ম্যানেজারদেরসঙ্গে কথা হলে তারা জানান,বন্যার কথা উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। দুগর্তদের সহযোগিতার অনুমতি পেলে যথা সময়ে পৌচ্ছে দেব। ঋণের কিস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা কৃর্তপক্ষের চাকরি করি।ঋণ যে সদস্যরা নিয়েছেআমাদের তা আদায় করতেই হবে । তবে কৃর্তপক্ষ যদি বিষয়টি বিবেচনা করে তাহলে আমাদের কোন কিছু করার নেই। এলাকার লোকজন বলেছেন এনজিও গুলো বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কিছু না করেউল্টো কিস্তি আদায় করে বেড়াচ্ছে। ঋণের কিস্তির চাপ দেওয়াটা তাদের উপর এক ধরনের মানসিক নির্যাতন বলেও মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারেউপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম রব্বানী বলেন,কিস্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করছে এনজিও গুলো এমন লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং লোকজন ঘরে ফেরা না পর্যন্ত বেসরকারি কোন এনজিও যাতেকিস্তি আদায় না করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।দুগর্তরা যেন এনজিও গুলোকে কিস্তি প্রদান না করার সর্তক করেন।

সারাদেশ