বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। সরকার তুলনামূলক বেশি দাম দিয়েও গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। সময়মতো উৎপাদনে এসে এসব প্রতিষ্ঠান দেশকে ভালো বিদ্যুৎ দেবে।
প্রতিমন্ত্রী, আজ বিদ্যুৎ ভবনে ‘রংপুর গঙ্গাচড়া ৩০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ প্রকল্প হতে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) ও বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ইডকলসহ দেশীয় লিজিং কোম্পানির সোলার পাওয়ার বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অর্থায়নকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, যথাযথ অর্থায়ন বিদ্যুৎ খাতের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। বিদ্যুৎ খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকে সরকার সব সময় উৎসাহিত করে এবং করবে।
বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে (পিপিএ) স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব মিনা মাসুদ উজ্জামান ও বাস্তবায়ন চুক্তিতে (আইএ) স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের যুগ্ম-সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন এবং ইন্ট্রাকোর পক্ষে উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী।
রংপুর শহর থেকে প্রায় ১৭ কিঃমিঃ দূরে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড রংপুর গঙ্গাচড়া ৩০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন হতে পরবর্তী ১৩ মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু করবে। ইতোমধ্যে জমি ক্রয়, প্রযুক্তি এবং পরিবেশক বিষয়ক পরামর্শক নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। রংপুর গঙ্গাচড়া ৩০ মেগাওয়াট (এসি) গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টে অর্থায়ন করবে ইডকলসহ দেশীয় লিজিং কোম্পানি। বাংলাদেশ সরকার পরবর্তী ২০ বছর পর্যন্ত ১৬ সেন্ট/ ইউনিট দরে বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস ও ইন্ট্রাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী।