আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু কেনাবেচার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়, পশু ডেলিভারি ছাড়াও কোরবানি করে মাংস পৌঁছে দেওয়ার মতো সেবাও দেবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে বিক্রয়. কম, ইভ্যালি. কম, প্রিয়শপ. কম, অথবা. কম, সদাগর. কমসহ বিভিন্ন বেসরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যেই নানারকম প্রচারণা শুরু করেছে।
‘বিক্রয় বিরাট হাট পাওয়ার্ড বাই মিনিস্টার’
বিক্রয় ডট কমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনার কারণে গত বছর অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার পাশাপাশি গ্রাহকের কাছে পশু ডেলিভারি, কোরবানি করে মাংস কেটে ডেলিভারি ও পশু লাইভ দেখার সুযোগ চালু করা হয়য়। সেই সুযোগ এবারও অব্যাহত আছে। এ ছাড়া বিক্রয় ডট কম এবং মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড এবারের ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পঞ্চমবারের মতো নিয়ে এসেছে কোরবানি ক্যাম্পেইন-‘বিক্রয় বিরাট হাট পাওয়ার্ড বাই মিনিস্টার’। ক্যাম্পেইনটি চলবে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত।
বিক্রয় ডট কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালিক ঈশিতা শারমিন বলেন, ‘গত সাত বছর ধরে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিক্রয়. কম কোরবানি পশুর পসরা নিয়ে আসছে। এখন করোনার সময়ে ডিজিটাল হাট একরকম প্রয়োজনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ঈদের আনন্দকে দ্বিগুণ করতে এবার গ্রাহক এবং মেম্বার সবার জন্যই একটু ভিন্নধর্মী বিরাট হাট (#BiratHaat 2021) কনটেস্টের আয়োজন করেছি আমরা।’
মিনিস্টার গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান কে এম জি কিবরিয়া বলেন, ‘গত বছরগুলোয় বিরাট হাট (#BiratHaat 2021) ক্যাম্পেইনের সফলতার ধারাবাহিকতায় পঞ্চমবারের মতো আমরা কন্টেস্টটির অংশীদার হয়েছি। সময়টা স্বাভাবিক না হলেও ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য একটা আনন্দের উপলক্ষ হবে। তাই এই সুযোগটি আমরা হাতছাড়া করতে চাইনি। বিরাট হাটের মাধ্যমে ক্রেতারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই নিরাপদে কোরবানির পশু ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। একই সঙ্গে ঈদের খুশিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সৌভাগ্যবান ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জন্য থাকছে মিনিস্টার-এর সৌজন্যে দারুণ সব পণ্য জিতে নেওয়ার সুযোগ। আশা করছি করোনার এই সময়ে গ্রাহকেরা এই সকল পণ্য উপহার হিসেবে পেয়ে উপকৃত হবেন।’
দেশীয় গরুর ব্যাপক সংগ্রহ নিয়ে সদাগর. কমের ‘ডিজি কাউ’ ক্যাম্পেইন শুরু
সদাগর ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রাহকেরা আমাদের সাইট থেকে পশু কিনছেন। আমাদের সঙ্গে দুই শতাধিক কসাই রয়েছেন। রাজধানীর উত্তরা, তেজগাঁও ও মেরাদিয়াতে আমাদের তিনটি পশু জবাইখানা রয়েছে। দুই হাজার গরু জবাই করে মাংস কেটে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এর জন্য সদাগর এক্সপ্রেসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি কারওয়ান বাজারের ট্রাক মালিক সমিতির সঙ্গেও আমাদের সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।’
ইভ্যালির আলমগীর র্যাঞ্চ ও ই-বাজার
অনলাইনে পশু কেনাকাটার সুবিধা নিয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ইভ্যালিতে যারা আলমগীর র্যাঞ্চ থেকে পশু অর্ডার করবেন ডেলিভারি পর্যন্ত সেই পশুর যাবতীয় পরিচর্যা আমরাই করব, যার জন্য অতিরিক্ত কোনো মূল্য দিতে হবে না। এ ছাড়া যারা সরাসরি পশু কেনাবেচা করতে চান তাঁদের জন্য রয়েছে ই-বাজার। এখানে গ্রাহকেরা সহজে ও নিরাপদে পশু কেনাবেচা করা এবং লেনদেন করতে পারবেন।’
প্রিয়শপ. কমের আয়োজন ‘অনলাইন কোরবানি হাট’
এরই মধ্যে প্রিয়শপের অনলাইন হাটে গরু তোলা হয়েছে। ক্রেতারা ওয়েবসাইটে গরু দেখতে এবং কিনতে পারছেন। গরু পছন্দ করার পর বিকাশ, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংক ডিপোজিট, মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে।
প্রিয়শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশিকুল আলম খাঁন বলেন, ”গরুর ওজন অনুযায়ী কেজিপ্রতি দামের ভিত্তিতে ‘ফিক্সড প্রাইসে’ গরু বিক্রি করা হবে। কোরবানির পশু কেনামাত্র ক্রেতাকে এসএমএস দিয়ে নিশ্চিত করা হবে।’ ‘
‘অথবা’ও কোরবানি করে মাংস ডেলিভারি করবে
অথবা ডট কম জানায়, তাঁরা কোরবানি উপলক্ষে অনলাইনে কোরবানি হাটের আয়োজন করছে। গ্রাহকের কাছে পশু ডেলিভারি, কোরবানি করে মাংস কেটে ডেলিভারিসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনার সরকারি উদ্যোগও অব্যাহত থাকছে। গত বছর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব যৌথভাবে চালু করে ‘ডিজিটাল হাট’। সেই উদ্যোগ এবারও অব্যাহত থাকবে।