ঈদের আগে ব্যাংকের সব শাখা খোলা থাকবে ২ দিন। এই দিনগুলোতে গ্রাহকরা ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে শিল্পাঞ্চলগুলোতে অতিরিক্ত ২ দিন ব্যাংক খোলা থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে ২ দিন অর্থাৎ ১৮ এবং ১৯ জুলাই সব পর্যায়ের গ্রাহকরা ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবে। এই দুইদিন লেনদেন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে পরিপালনপূর্বক ব্যাংকের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম চলবে বিকাল ৬টা পর্যন্ত।
এদিকে, শুধুমাত্র শিল্পাঞ্চলে বেতন ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে অতিরিক্ত ২ দিন অর্থাৎ শনিবার (১৭ জুলাই) এবং সোমবার (২০ জুলাই) ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। শিল্পাঞ্চলে খোলা থাকা ব্যাংকের শাখাগুলোতে সকাল ১০ টাকা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার আগে তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রপ্তানি বিল বিক্রয়ের এবং উক্ত শিল্পে কর্মরত শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তাদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকের তৈরী পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালনপূর্বক আগামী ১৭ ও ২০ জুলাই ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম চলবে ৩.৩০টা পর্যন্ত। উল্লেখিত তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা চালু থাকবে। তবে, ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা সুষ্ঠুরূপে পরিচালনার স্বার্থে উল্লিখিত এলাকার বাইরে অবস্থিত কোন ব্যাংক শাখার উপর চেক প্রদান করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বলছে, ঈদকে সামনে রেখে নগদ টাকা চাহিদা রয়েছে। যাদের ব্যাংক হিসাব আছে তারা নগদ টাকার যোগানের জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করছে। আর তাই যেসব গ্রাহকদের নগদ টাকার প্রয়োজন তারা দুই দিন ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, করোনাইরাস রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের কার্যক্রমের সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।