ভুঁইফোঁড় ‘লীগ’ তদবির চাঁদাবাজির হাতিয়ার

ভুঁইফোঁড় ‘লীগ’ তদবির চাঁদাবাজির হাতিয়ার

বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্যপদ হারিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সংগঠনটির জেলা-উপজেলা ও বিদেশ শাখায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়ায় তাকে রোববার এই শাস্তি দেওয়া হয়।

কেবল আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের গত এক যুগ সময়ে এ রকম দুই শতাধিক ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে উঠেছে। যারা আগে-পরে ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘আওয়ামী’ কিংবা ‘লীগ’ শব্দ জুড়ে দিয়ে সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে আওয়ামী লীগের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাও ব্যবহার করছেন। তদবির-চাঁদাবাজির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠন।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামে কোনো সংগঠন প্রতিষ্ঠা কিংবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আটটি সহযোগী ও তিনটি ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বাইরে অন্য কারও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে দাবি করার সুযোগও নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নামে কোনো সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু রাতারাতি গড়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় ও নামসর্বস্ব সংগঠনগুলো এসব নিয়মের কোনোটাই মানছে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এসব সংগঠনের কার্যক্রমে প্রচণ্ড অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তোয়াক্কাই করছেন না ‘রাজনৈতিক দোকান’ হিসেবে পরিচিত সংগঠনগুলোর নেতারা।

শুধু বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের আশপাশেও কয়েকটি সংগঠনের ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। অবশ্য কিছু ‘নেতা’ নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাসাবাড়িকেও ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন। সবাই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে সংগঠনের নেতাদের নামে বড় বড় ব্যানার-পোস্টারে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবির অবাধ ব্যবহার করছেন।

মাঝেমধ্যে দু-একটি কর্মসূচির আয়োজন এবং সেগুলোতে রাজনীতির মাঠের সাইডলাইনে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক ব্যবসায়ীদের হাজির করে গণমাধ্যমের কাভারেজও পেয়ে যাচ্ছে ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলো। কাভারেজপ্রত্যাশী মন্ত্রী-নেতারাও কর্মসূচিগুলোতে প্রধান কিংবা বিশেষ অতিথি হচ্ছেন।

সংগঠন আর সংগঠন! :সমকালের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে কেবল চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজির উদ্দেশ্যে গত এক যুগে দুই শতাধিক ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। যেসব সংগঠনের বেশিরভাগেরই জন্ম আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময়কালে। এই সময়ে ‘সংগঠন-বাণিজ্য’ করেই বাড়ি-গাড়ির মালিক বনে গেছেন কয়েকজন ‘নেতা’। কিছু সংগঠন অবশ্য ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠা পেলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আড়ালে চলে গিয়েছিল। পরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বহু বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি সংগঠনও ‘বাণিজ্য’ চালিয়ে যাচ্ছে। ‘পদক’ কিংবা ‘সংবর্ধনা’ দেওয়ার প্রলোভনে উঠতি কিছু নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কর্মসূচির আয়োজন করে ‘পদক-বাণিজ্যে’ লিপ্ত কয়েকটি সংগঠন।

‘আওয়ামী’ ও ‘লীগ’ শব্দ ব্যবহার করে গড়ে তোলা অর্ধশতাধিক সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- আওয়ামী ওলামা লীগ (কয়েক ভাগে বিভক্ত), আওয়ামী তরুণ লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক লীগ, নাপিত লীগ, ফকির লীগ, প্রবীণ লীগ, ডিজিটাল লীগ, রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী হকার্স লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, আওয়ামী সমবায় লীগ, আওয়ামী শিশু যুব সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী পরিবহন শ্রমিক লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী তৃণমূল লীগ, আওয়ামী যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী শিশু-কিশোর লীগ, আওয়ামী অভিভাবক লীগ, আওয়ামী কর্মজীবী লীগ, আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী প্রচার ও প্রকাশনা লীগ, আওয়ামী পর্যটন লীগ, আওয়ামী নবীন লীগ, আওয়ামী স্বাধীনতা লীগ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগ, আওয়ামী ইয়াং বাংলা লীগ, আওয়ামী সৈনিক প্লাটুন, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, তরীকত লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, রিকশা মালিক লীগ, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মচারী লীগ, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, ঘাট শ্রমিক লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, ডিজিটাল আওয়ামী ওলামা লীগ, ডিজিটাল ছাত্রলীগ, আওয়ামী উদ্যোক্তা লীগ প্রভৃতি।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নামেও গড়ে উঠেছে অসংখ্য সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু আওয়ামী পরিবার লীগ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন সংসদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়ন লীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় লেখক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, বঙ্গবন্ধু একাডেমি, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক তরুণ লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ, বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, চেতনায় মুজিব, আমরা মুজিব সেনা, বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ, জননেত্রীর সৈনিক, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, রাসেল মেমোরিয়াল একাডেমি, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, শেখ রাসেল শিশু পরিষদ, সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ, ড. এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন প্রভৃতি।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, মুক্তিযুদ্ধ ও গণমুক্তি আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদ, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী, স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি প্রতিরোধ কমিটি, প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধ সমাজকল্যাণ যুব সংঘ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সংস্থা, আমরা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম, স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ প্রভৃতি।

এর বাইরে ‘আওয়ামী লীগ সমর্থক’ সংগঠন দাবি করে গড়ে ওঠা বাহারি নামে আরও কিছু সংগঠনের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে- আমরা নৌকা প্রজন্ম, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, নৌকার নতুন প্রজন্ম, ডিজিটাল বাংলাদেশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিষদ, বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন, সাধনা সংসদ, জাতীয় মুক্তিবাহিনী ‘৭৫, জনতার প্রত্যাশা, ‘৭৫-এর ঘাতক নির্মূল কমিটি, ২১ আগস্ট ঘাতক নির্মূল কমিটি, পরিবর্তন ফাউন্ডেশন, সোনার বাংলা গঠন পরিষদ, সম্মিলিত যুব-পেশাজীবী পরিষদ, অরোরা ফাউন্ডেশন প্রভৃতি।

কারা এর নেতা! :একসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মাঝারি কিংবা নিচের সারির নেতারাই মূলত এসব সংগঠনের মূল নেতা কিংবা পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। এখন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের তালিকায় সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পদবঞ্চিত কিংবা পদপ্রত্যাশী নেতাদের নামও যুক্ত হচ্ছে। আবার ‘স্বার্থ-সংশ্নিষ্ট’ মনোমালিন্য ও দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদে লিপ্ত অনেকে এক সংগঠন থেকে বেরিয়ে নতুন সংগঠন গড়ে তুলছেন। এ কারণে এ ধরনের সংগঠনের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক ও ‘জনতার প্রত্যাশা’র সভাপতি এম এ করিম, আরেক সাবেক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ এবং বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজিও সম্পৃক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রকমই একটি সংগঠন বাংলাদেশ জনতা লীগের সভাপতি ইয়াসিন হাওলাদার মঞ্জু স্বীকার করেছেন, তার সংগঠনটি আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর ঠিকানা কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে নতুন যে সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করে, তারা মূলত এ ঠিকানাই দেয়। আমাদের এমনিতে আঞ্চলিক অফিস হলো গাজীপুরে। আমি নিজেও সেখানে থাকি।’

‘আওয়ামী তরুণ জনতা লীগ’ নামে আরেকটি সংগঠনের সভাপতি আল মামুন জুয়েল বলেন, তার সংগঠনটিও আওয়ামী লীগের কোনো নিবন্ধিত বা অনুমোদিত সংগঠন নয়। তবে যারা দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ বা যুবলীগ বা আওয়ামী লীগে কোনো পদ পাচ্ছেন না, তাদের নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্য নিয়েই এ সংগঠন গড়ে উঠেছে।

কেন্দ্রীয় নেতারা যা বললেন :আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ভুঁইফোঁড় সংগঠন ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, দলের গঠনতন্ত্র স্বীকৃত সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বাইরে যে কোনো নামের সঙ্গে ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ জুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সমকালকে বলেছেন, দলের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়া বাকি যেগুলো আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো অনুমোদন বা ভিত্তিও নেই। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি কিছু করার চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একই কথা বলেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও। তিনি বলেন, যারাই আওয়ামী লীগের নামে কোনো অবৈধ সংগঠন গড়ে তুলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করবেন- তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজনীতি