কলকাতায় ‘বঙ্গোপসাগরীয় বহুক্ষেত্রীয় প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ (বিমসটেক) সম্মেলনে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২১ ভাগ অর্থাৎ ১.৩ বিলিয়ন মানুষ বিমসটেক জোটভুক্ত দেশগুলোতে বাস করছে। দেশগুলোর সমষ্টিগত জিডিপির পরিমাণ ৭৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ দেশগুলোর সম্মিলিত বাণিজ্যের পরিমাণ বিশ্ববাণিজ্যের মাত্র শতকরা ৭ ভাগ। সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহায়তার দৃষ্টান্ত এখনও অতি নগণ্য। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ ধরনের জোটের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করা সম্ভব।
তিনি আজ কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে তিনদিনব্যাপী (১৫-১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) সাতজাতি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট ‘বিমসটেক’ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ সবজি উৎপাদনকারী দেশ। এছাড়া এখন চাল, মিঠা পানির মাছ এবং ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ স্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমরা এখন ইউরোপের উল্লেখযোগ্য দেশগুলোতে জাহাজ রপ্তানি করছি। আমাদের সফটওয়্যার শিল্পখাত দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে এখাতে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হলেও ২০১৮ সাল নাগাদ আমরা সফটওয়্যার খাত থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার এ ধরনের উন্নয়নমুখী দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি আরো প্রসারের লক্ষ্যে এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ প্রয়োজন।
ইন্ডিয়ান চেম্বার ও কমার্স এর সভাপতি সসওয়াত গোয়েনকা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পান্ডে, ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব প্রশান্ত আগরওয়াল (চৎধংধহঃধ অমধৎধিষ), মিয়ানমার এর বিমসটেক প্রতিনিধি লাপাই ঝাউ গুন (খধযঢ়ধর তধঁ এড়ড়হব), ঝাড়খন্ডের শিল্প অধিদপ্তরের সচিব সুনীল কুমার বার্ণওয়াল এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার ও কমার্স-এর সিনিয়র সহসভাপতি রুদ্র চ্যাটার্জী।