রবিবার থেকে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খোলাবাজারে (ওএমএস) প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা ও আটা ১৭ টাকায় বিক্রি করা হবে। এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
চাল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। রবিবার থেকে সব বিভাগীয় ও জেলা শহরে ওএমএস চালু হবে। যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ওএমএস চালু থাকবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএস-এর পাশাপাশি আগামী বুধবার থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও চালু হবে। এ কর্মসূচিতে চলতি সেপ্টেম্বর থেকে আগামী তিন মাস ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে।
এদিকে আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বাকিতে ঋণপত্র খোলার সুযোগ দিয়েও চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন। সিন্ডিকেটটি ব্যবসায়ীদের মাঝে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে চালের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।