কানাডা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান টিকেসি টেলিকমের সাথে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বিটিআরসি’র কার্যালয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ চুক্তি স্বক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিটিআরসি’র পক্ষে কমিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মোঃ গোলাম রাজ্জাক ও টিকেসি টেলিকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামির তালহামি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
চুক্তি অনুযায়ি টিকেসি টেলিকমকে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ১৮০ দিনের মধ্যে টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
ভার্চ্যূয়ালী আয়োজিত এ অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, টেলিকম মনিটরিং চুক্তির মধ্যদিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রাত্রায় আরও একটি মাইলফলক স্থাপিত হলো। তিনি বলেন, এ টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম, টেলিকম সেবার মনিটরিং ও মানোন্নয়নে অনন্য সাধারণ অবদান রাখবে।
মন্ত্রী বলেন,‘মোবাইল অপারেটদের সেবার গুণগত মান সমুন্নত রাখার কথা ছিল, আমরা সেগুলো মনিটরিং করে আসছি। কিন্তু প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া এই কাজটি সম্পাদন করা অসম্ভব। সেজন্যই আমরা এক্ষেত্রেও প্রযুক্তিকেই অবলম্বন করছি।’
মোস্তাফা জব্বার এ সময় জানান, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ও ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার চালুর মাধ্যমে পৃথিবীতে দৃষ্টানমশ স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। নতুন টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে আমরা টেলিকম খাতের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে সক্ষম হবো।’
কলড্রপ, ডাটা নেটওয়ার্ক না পাওয়া, ডাটার মেয়াদ ব্যবহারকারীদের কমন যেসব সমস্যা আছে সেগুলো দ্রুত সমাধানের জন্যও মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, বিটিআরসি’র ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এবং টিকেসি টেলিকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সামির তালহামি বক্তৃতা করেন।।
এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়,এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামাঞ্চল, দ্বীপ, হাওড়-বাওড়, উপকূলীয় অঞ্চল ও দূর্গম এলাকার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের প্রকৃত অবস্থা তাৎক্ষনিক যাচাই করা সম্ভব হবে। অপারেটরদের নেটওয়ার্কের লাইভ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সেবার মান আরো সুচারুভাবে যাচাই করা যাবে এবং গ্রাহকসেবার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে। অপারেটররা বাস্তবে যেসকল ট্যারিফ বাস্তবায়ন করছে এবং এসকল ট্যারিফ প্যাকেজ বিটিআরসি কর্তৃক অনুমোদিত কি না অথবা গ্রাহকেরা অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কি না তা যাচাই করা এবং এ বিষয়ক অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি কার্যকরভাবে করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং নানাবিধ অবকাঠামোগত ব্যবস্থা ও সেবার সঠিক মান উন্নয়নে সিস্টেমটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।বাসস