নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও ২১ জনের মরদেহ আজ শনিবার (৭ আগস্ট) স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যেই মরদেহ হস্তান্তরে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

দুপুর নাগাদ মরদেহ হস্তান্তর হতে পারে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্রে জানা গেছে।

সিআইডির ডিএনএ (ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড) প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তকৃত মোট ৪৫ জনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ২৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মরদেহ দাফনকাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডে নিহত মোট ৪৮ জন শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় সেগুলো ঢামেক মর্গেই থাকবে।

ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মরচুয়ারি অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকান্দার আলী বলেন, গত ৪ আগস্টের মতো একই প্রক্রিয়ায় সিআইডি পুলিশ স্বজনদের নাম, ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করবে। ইতোমধ্যেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা মরদেহগুলো ঢামেক মর্গে আনা হয়েছে। শনিবার রাতে প্রতি মরদেহের কফিনে নাম, ঠিকানা লিখে রাখা হয়েছে। সিআইডি পুলিশ স্বজনদের নাম, ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে মরদেহ হস্তান্তর করবে।

কখন মরদেহ হস্তান্তর করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মরদেহ হস্তান্তরে সকল প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সেদিনের মতো দুপুরে হস্তান্তর করা হতে পারে।’

সিআইডি পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমাম হোসাইন গত ৪ আগস্ট ২৪ মরদেহ হস্তান্তরকালে বলেছিলেন, ‘ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ২৪ জনের মরদেহ। অবশিষ্ট ২১ জনের মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করা হবে।’

গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। যাদের ৪৯ জনের মরদেহ পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।

অগ্নিকাণ্ডে মরদেহগুলো পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় মরদেহ ও স্বজন দাবিদারদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য সিআিইডির ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। ৪৮টির মধ্যে ৪৫টির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

সারাদেশ