নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বৃহৎ অনলাইন খাবার সরবরাহকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডা। অনলাইনের খাবার বাজারে এই প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই প্রতিষ্ঠানের বাজার বড় হচ্ছে। অতি মুনাফা আর নানা অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বড় হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো ভ্যাট ফাঁকি। বিশেষ করে বিক্রয় তথ্য গোপন করে প্রতিষ্ঠানটি।
ফুডপান্ডা একদিকে নিজেরা বিক্রয় তথ্য গোপন করে, অন্যদিকে হোটেল, রেস্টুরেন্টকে ভ্যাট ফাঁকিতে সহায়তা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে ফুডপান্ডার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট গোয়েন্দা)। ভ্যাট ফাঁকি প্রমাণিত হওয়ায় তা স্বীকার করে নিয়েছে ফুডপান্ডা। ফাঁকি দেয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে। তবে ভ্যাট ফাঁকির ঝুঁকি থাকায় ফুডপান্ডাকে নজরদারিতে রেখেছে ভ্যাট কমিশনারেট। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, ফুডপান্ডা হলো অনলাইনে খাবার অর্ডার করার এক ধরনের ব্র্যান্ড বা কোম্পানি। এটির প্রধান সদর দপ্তর জার্মানির বার্লিন শহরে অবস্থিত। বর্তমানে ফুডপান্ডা বাংলাদেশসহ ১১টি দেশে অনলাইনে খাবারের অর্ডার গ্রহণ ও ডেলিভারির কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হলোÑবুলগেরিয়া, কম্বোডিয়া, হংকং, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রোমানিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও জাপান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির ডেলিভারি হিরো নামক প্রতিষ্ঠানটি ফুডপান্ডা গ্রুপকে কিনে নেয়। বর্তমানে এটি তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ফুডপান্ডা সরাসরি নয়, ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশিদের মধ্যে পরিচালিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বিশেষ করে ভ্যাট ও কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।বিস্তারিত