মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছে। জীবন ও সম্ভ্রম বাচাঁনোর জন্য ইতোমধ্যে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিয়ে আজ ‘মাদার অভ্ হিউমিনিটি’ নামে আখ্যায়িত হয়েছেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠন দু’টি টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য শতাধিক ট্রাক ভর্তি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রী উক্ত দু’টি সংগঠনের আহ্বায়ক।
জাতিসংঘে ৭২তম সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘২৫ শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হিসেবে পাঁচদফা পরিকল্পনা তুলে ধরায় তাঁকে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও প্রস্তাবিত দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, রোকেয়া প্রাচী, কামরুল আলম সবুজ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।