সন্ত্রাসী কেবলই সন্ত্রাসী; কোনো বিশ্বাস, জাতি বা ধর্মের দ্বারা পরিচিত হওয়ার অধিকার তার নেই।
৩ অক্টোবর (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ সদরদপ্তরের ৭২তম সাধারণ পরিষদের ‘মেজারস্ টু এলিমিনেট ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ শীর্ষক এক আলোচনায় একথা বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ।
সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের হাই লেভেল সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ভাষণে সন্ত্রাস নির্মূলেরক্ষেত্রে তাঁর উল্লিখিত অগ্রাধিকারসমূহ মাহজাবিন খালেদ এসভায় তুলে ধরেন। সন্ত্রাস দমনে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুযায়ী বর্তমান সরকার আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণসহ অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার মূলোৎপাটনে সরকার সমাজের সকলকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কমিউনিটি পুলিশিং, নারী ও যুব নেতৃত্বের অধিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ সমাজের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও নিবিড় অংশগ্রহণের ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার কার্যকর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও কাজ করছে এবং জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও ঘনিষ্ট যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মাহজাবিন খালেদ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা রাজ্যে সাধারণ জনগণের ওপর সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অনাকাক্সিক্ষত আক্রমণের ফলে সৃষ্ট সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার এই দূর্দশাগ্রস্ত মানুষদের মানবিক সাহায্য ও আশ্রয় দিয়েছে বটে, কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী ও সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠী যাতে তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন রয়েছে।