চীন এবং রাশিয়া ইরান ও পাকিস্তানকে তাদের সাথে আরো সম্পৃক্ত করছে যাতে আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান সঙ্কট মোকাবিলার জন্য একটি অঞ্চলব্যাপী কৌশল উন্নত করা যায়, যেখানে তালেবানরা তাদের সরকারের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাচ্ছে। এদিকে, তুরস্ক ও কাতার কাবুল বিমানবন্দরে স্বাভাবিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য কাজ করছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন।
আসন্ন সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন প্রধানদের রাষ্ট্রীয় শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি চীন, রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম চতুর্ভুজ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন। শুক্রবার থেকে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশান্বেতে সম্মেলনটি শুরু হয়েছে। বৈঠকে তার উদ্বোধনী বক্তব্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ‘যে দেশগুলো আফগানিস্তানের নিকট প্রতিবেশী’ তারা আফগান জনগণকে ২০ বছর ধরে সৃষ্ট সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সততার সঙ্গে কাজ করে আফগানদের সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং আফগান ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত কোনো হুমকি ছাড়াই আফগানদের নিজেদের ভাগ্য নিজের হাতে পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বাহ্যিক পরিস্থিতি তৈরিতে আমরা পার্থক্য আনতে পারি। আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে প্রতিবেশীদের জন্য সৃষ্ট কোনো ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ ছাড়াই এটি করা যেতে পারে।’ তাদের আলোচনার পর প্রকাশিত একটি রিডআউটে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, ‘আফগানিস্তানে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সুবিধার বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা করা হয়েছিল, যখন দেশটিতে জাতীয় পুনর্মিলন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়া হয়েছিল।’ ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে ইতিবাচক ফলাফল জানিয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন যে, তালেবানরাও কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু করতে কাতার এবং তুরস্কের সাথে কাজ করছে। এর ফলে চার্টার্ড ফ্লাইটের পাশাপাশি কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অতিরিক্ত বিকল্প থাকবে বলে তিনি যোগ করেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর, হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে যে, আফগানিস্তানের কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে। ২০ বছরের দখলদারিত্বের পর চূড়ান্তভাবে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ করার একদিন পরেই তারা এই ঘোষণা দেয়। গত সপ্তাহে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানের কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রক্ষার মিশন একটি রাষ্ট্রের হাতে নেয়ার পরিবর্তে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাকে দেয়া যেতে পারে। সূত্র: নিউজউইক, মিডল ইস্ট মনিটর।