‘ঢাকা বিভাগে সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি রয়েছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সম্প্রতি করা এক তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তালিকা ধরে শিগগির অভিযান শুরু করা হবে।’
আজ শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান।
ফজলুর রহমান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর আগেও মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করেছিল। দুই মাস আগে পূর্বের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আমরা ঢাকা বিভাগের মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি।
সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট কিছুটা বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন ফজলুর রহমান।
ফজলুর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর আগেও মাদক কারবারিদের তালিকা তৈরি করেছিল। দুই মাস আগে পূর্বের তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আমরা ঢাকা বিভাগের মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনিন, ইতোমধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার জন্য লোকবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট কিছুটা বেড়েছে। অভিযানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পরিচালক জানান, ২১ আগস্ট বনানী ও উত্তরায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম আইসসহ ১০ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুলশান, ভাটারা, কুড়িল ও রমনা এলাকা থেকে আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫৬০ গ্রাম ক্রিটাল মেথ আইস ও ১২০০ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক কারবারিরা হলেন জাকারিয়া আহমেদ অমন (৩২), তারেক আহম্মেদ (৫৫), সাদ্দাম হোসেন (৩১), শহিদুল ইসলাম খান (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (৫০)।
ফজলুর রহমান বলেন, ঢাকায় এই চক্রটি আইস মাদকের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছিল। প্রথমে রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি জাকারিয়া আহমেদ অমনকে ৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জাকারিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানাধীন বারিধারা দূতাবাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারেক আহম্মেদকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস মাদক ও ১০০ পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
ফজলুর রহমান আরো বলেন, জাকারিয়া ও তারেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে ৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইচ মাদক ও পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসামি শহীদুল ইসলাম খানকে ২০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস মাদক ও ৫০০ ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি প্রাইভেট কারসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর জোয়ার সাহারা, ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জসিম উদ্দিনকে ২৬০ গ্রাম আইস মাদক ও ২০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির কাছ মোট ৫৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস মাদক ও এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবা এবং দুইটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, যারা ইয়াবা কারবার করে তারা নতুন করে মিয়ানমার থেকে আইস মাদকের কারবারে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া বর্তমানে আইস মাদকে যুক্ত হচ্ছে বিত্তশালীরা। গ্রেপ্তারদের সবার অবস্থা ভালো ও তারা বিত্তশালী। তাদের কেউ ইংল্যান্ড থেকে বিবিএ করেছেন, কেউ আবার অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছেন। তারাই রাজধানীর অভিজাত এলাকায় করছেন মাদকের কারবার। তারা সেবনের পাশাপাশি ভয়ানক মাদক আইস কারবারের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
এসব মাদকের উৎস মিয়ানমার। নাফ নদী পথে গভীর সমুদ্র হয়ে মাদকের এসব চালান দেশে আসছে বলেও জানান তিনি।