সাঈদ আহমেদ
ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের একজন সহকারী পরিচালকের কতই বা আর বেতন? সর্বসাকুল্যে ৪৫ হাজার টাকা। উপ-পরিচালকের বেতনও খুব বেশি নয়, ৫৫ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা। পরিচালকের বেতন ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৮৫ হাজার টাকা। পাসপোর্টের একজন কর্মকর্তা যদি সহকারী পরিচালক থেকে ১৫ বছরে পরিচালক পদে পদোন্নতি পান তাতেও তার অন্তত কোটিপতি হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু পাসপোর্ট পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খান এমনই এক আলাদীনের প্রদীপ হাতে পেয়েছেন। চাকরিজীবনের দেড় দশকে তিনি হয়ে গেছেন অন্তত শত কোটি টাকার মালিক। তার সম্পদের ফিরিস্তি দেখে ভিড়মি খাচ্ছেন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন, এমনকি তদন্ত সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)। সবার একটাই প্রশ্ন-কি করে তিনি এতো সম্পদের মালিক হলেন? এখনও তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণের ‘তল’ খোঁজা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত হাতে যা এসেছে তাতেই সংশ্লিষ্টদের আক্কেল গুড়ুম।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০০৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে পাসপোর্ট অধিদফতরে যোগদান করেন তৌফিকুল ইসলাম খান। প্রথম পোস্টিং যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। সেখানে ২ মাস যেতেই পোস্টিং হয় ঢাকার সাভার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। চাকরি জীবনে তিনি নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, ঢাকার যাত্রাবাড়ি, ঢাকাস্থ হেড অফিস, খুলনা এবং বর্তমানে ঢাকা সদর দফতরে অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। এর মধ্যে তিনি সহকারী পরিচালক ছিলেন ৭ বছর, উপ-পরিচালক ছিলেন ৮ বছর এবং উভয়পদে মোট ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। এ সময় তিনি সর্বসাকুল্যে যথাক্রমে- ৫৫ হাজার টাকা, ৬৫ হাজার টাকা এবং এখন ৭৫ হাজার টাকা করে বেতন তুলছেন। সরকারি হিসেবের এই অর্থ গ্রহণ করেও তিনি কি করে এতো অর্থ-বিত্তের মালিক হলেন? বিস্তারিত