বিশেষ সংবাদদাতা
নতুন মোড়কে মাঠে নামছে ‘ডেসটিনি-২০০০’। সংগঠিত করা হচ্ছে সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অন্তত ১০ লাখ কর্মীকে। গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়ার নাম নেই। কিন্তু নতুন করে টার্গেট করা হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার টাকা কোটি হাতিয়ে নেয়ার। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যমান সম্পত্তি নামমাত্র মূল্যে হাতিয়ে নেয়ার। এক সুদূরপ্রসারী ‘মাস্টারপ্ল্যান’ হাতে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ডেসটিনির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাসূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্রমতে, এই মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে ডেসটিনির মাস্টারমাইন্ড মো. রফিকুল আমীনকে কারামুক্ত করে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া, ৪৫ লাখ গ্রাহকের মধ্য থেকে অন্তত: ১০ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে আরও অন্তত : ১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং নিলামে ‘বিক্রয়’ দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে ডেসটিনির হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি গ্রাসের মতো পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্রটি জানায়, বহুস্তর বিপণন ব্যবসার নামে গ্রাহকের কাছ থেকে ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ডেসটিনি-২০০০। এর মধ্যে ডেসটিনি ট্রি-প্লান্টেশনের আওতায় বৃক্ষরোপণের নামে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (ডিএমসিএসএল) অধীনে এমএলএম ব্যবসার নামে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। ২০০০ সালে বিতর্কিত বহুস্তর বিপণন পদ্ধতিতে (এমএলএম) কার্যক্রম শুরু করে ডেসটিনি। যাত্রা শুরুর পর প্রথম এক দশকের মধ্যে বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খোলে প্রতিষ্ঠানটি।বিস্তারিত