আওয়ামী লীগ যাবে না সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাধায়কের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে সংবিধান মেনে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন

আওয়ামী লীগ যাবে না সংবিধানের বাইরে তত্ত্বাধায়কের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণে সংবিধান মেনে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন

মুহম্মদ আকবর

নির্বাচানকালীন সরকার নিয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দল যে দাবি তুলছে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, তত্ত্বাধায়ক সরকার নিয়ে যে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসার জন্যই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগে সফলভাবেই নির্বাচনী কার্যক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য এ নেতাদের।

নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা না করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রতি সম্প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, আমরা এ দেশে গণতান্ত্রিক আবহ ফিরিয়ে আনতে চাই। সে জন্য সুন্দর, সক্রিয় ও সচেতন পরিবেশ চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য নতুন নয়। জনগণ জানে যে, কারা ভুয়া ভোটার লিস্ট করেছিল। যারা এসব করেছে তারা তাদের ভুলগুলো দেখতে পায় না। সেই ভুলগুলোই তারা বারবার আওড়াতে থাকে। সুতরাং নির্বাচন সামনে রেখে তারা কী করবে এটা তাদের ব্যাপার। আমরা সঠিক প্রক্রিয়া মেনে আমাদের কাজ করে যাব।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ নিয়ে এখন কথা কেন বুঝি না। এটা তো খুবই পরিষ্কার যে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়ার কথা। হয়েছেও। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি এ দেশের মানুষের

 

আস্থা ও বিশ^াস আছে। জনগণই তো মূল। আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকেই রাজনীতি করে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে দায়িত্ব থাকবে। তারাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবে। সুতরাং এ নিয়ে এখন বিতর্কের অবকাশ আছে বলে আমি মনে করি না।

১৯৯১ সালে প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধান সংশোধন করে তৎকালীন বিএনপি সরকার। ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। রায়ে আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলেও মত দেওয়া হয়। এ রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তৎকালীন মহাজোট সরকার। বিলুপ্ত করা হয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এর পর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থাৎ নির্বাচিত সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়।

রাজনীতি