- এম এ বাবরঘুষ, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের ফাঁদ পাতার অভিযান আরো জোরদার করা হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর (২০২০-২১) সংস্থাটির ফাঁদ কার্যক্রম কিছুটা শিথিল ছিল। সম্প্রতি মহামারি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় আবারো এই প্রক্রিয়া বেগবান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি ঠেকাতে দপ্তরগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে দুর্নীতি কমবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভূমি ও স্থানীয় সরকারসহ যে-কোনো সরকারি-বেসরকারি সেবা খাতে ফাঁদ পেতে দুর্নীতিবাজ ধরবে দুদক। পাশাপাশি সরকারি দপ্তরগুলোর দুর্নীতিবাজদের তালিকাও করা হচ্ছে। এ কাজে দুদকের গোয়েন্দা শাখা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকাসহ চালু থাকছে ১০৬ হটলাইন নাম্বার। যে-কোনো ভুক্তভোগী এ হটলাইন নম্বরে কল করে দুর্নীতিবাজ ধরতে কমিশনকে সহযোগিতা করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতাকারীকে সুরক্ষা দেবে কমিশন। তা ছাড়া শুধু ঘুষ নিলে নয়, যারা ঘুষ দেবে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে কমিশনকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে অপরাধী শনাক্তে কেউ ঘুষ দিলে তাকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হবে না। সবমিলিয়ে দুর্নীতিবাজদের ধরতে ফাঁদ মামলা প্রক্রিয়া বাড়াচ্ছে সরকারি এই রাষ্ট্রীয় সংস্থা।বিস্তারিত