নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত ৭ অক্টোবর আবদুল কাদেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন শেখ আলী আকবর নামের একজন ঠিকাদার। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মিরসরাই ইকোনমিক জোনে পাথর সরবরাহের ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার (কার্যাদেশ) দেন আসামি আবদুল কাদের। এর মাধ্যমে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন আবদুল কাদের ও তাঁর সহযোগীরা।
অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসা আবদুল কাদের, তাঁর প্রতিষ্ঠান সততা প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী শারমিন চৌধুরীসহ চারজনকে ৭ অক্টোবর গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পরে পল্লবী থানার একটি মামলায় আবদুল কাদেরের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, ভুয়া অতিরিক্ত সচিবের ঘটনায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের নাম আসায় গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে ‘প্রতারক’ আবদুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মুসা বিন শমসেরের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবদুল কাদের। এর দায় তিনি (মুসা বিন শমসের) এড়াতে পারেন না।
ডিবি জানায়, এসএসসি পাস না করেই অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে প্রতারণা করে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন আবদুল কাদের। ঢাকার বাইরে গাজীপুরে ৯তলা বাড়ি ও ৮ বিঘা জমির ওপর বাগানবাড়ি রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া তাঁর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, দেড় যুগ ধরে প্রতারণা করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আবদুল কাদের।